অনলাইন ডেস্ক : ‘মন কি বাত’ আমার মনের কথা নয়। এই দেশের জনতা জনার্দনের মনের কথা। যা আমার পথ চলার কাজে এসেছে। গুজরাটে যখন ছিলাম, তখন ভাবিনি প্রধানমন্ত্রী হলে মানুষের কাছ থেকে এভাবে দূরে সরে যাব। নিরাপত্তার খাঁচায় বন্দি হয়ে পড়ব। তাই মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ তৈরি করার জন্য ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান শুরু করি। এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে প্রতি মাসে কত কিছু দেশে ঘটছে তা জানতে পারি। এটা শুধুমাত্র একটা অনুষ্ঠান নয়, প্রতিটি পুজোয় যেমন মানুষ প্রসাদের অপেক্ষায় থাকে, দেশবাসীর কাছে এটাও আমার একটা পুজোর মতোই অনুষ্ঠান। যেখান থেকে আমি প্রসাদ লাভ করি।’ রবিবার রেডিও অনুষ্ঠান ‘মন কি বাত’-র ১০০ তম পর্ব বক্তব্য রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
২০১৪ সালে প্রথমবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েই নরেন্দ্র মোদি শুরু করেন ‘মন কি বাত’। দেখতে দেখতে ১০০ পর্বে পা দিল রেডিও অনুষ্ঠানটি। ২২টি ভারতীয় ভাষা ও ১১টি বিদেশি ভাষা সম্প্রচারিত হল এদিনের ‘মন কি বাত’। আর এদিন বক্তব্য রাখার সময় রীতিমতো আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন মোদি। জানিয়ে দিলেন, এই অনুষ্ঠান তাঁর কাছে কোনও অনুষ্ঠান মাত্র নয়। তাঁর কাছে এই অনুষ্ঠান যেন এক পূজা। তাঁর মনের আধ্যাত্মিক যাত্রা।
রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর মাসিক রেডিও অনুষ্ঠান ‘মন কি বাত’-এর ১০০ তম পর্বে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘মন কি বাত’ বিষয়টি সম্পর্কিত একটি আন্দোলনে পরিণত হয়েছিল। এতে সামাজিক উদ্বেগের অনেক বিষয় উত্থাপিত হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মন কি বাত’-এর শ্রোতারা ১০০তম পর্বের জন্য অভিনন্দন পাওয়ার যোগ্য। ‘মন কি বাত’ মানুষের অনুভূতির প্রকাশ। শুরু হয়েছিল বিজয় দশমীর দিন। ‘মন কি বাত’ প্রকৃতপক্ষে দেশবাসীর জন্য শুভ উদযাপনের উৎসবে পরিণত হয়েছে। এতে আমরা ইতিবাচকতা এবং জনগণের অংশগ্রহণ উদযাপন করি। ‘মন কি বাত’-এর প্রতিটি পর্বই বিশেষ। দেশের প্রতিটি প্রান্ত থেকে মানুষ এতে যোগ দেয়।