অনলাইন ডেস্ক : চলে গেলেন করিমগঞ্জ জেলার বিশিষ্ট স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা শান্তনু কুমার দাস । সোমবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ করিমগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন । মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৫ বছর । শান্তনু দাস দীর্ঘদিন থেকেই বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন । শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক দাঁড়ালে তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে সিভিল হাসপাতালের আই সি ইউতে স্থানান্তরিত করা হয়, কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি । মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি । মৃত্যুকালে রেখে গেছেন স্ত্রী শেওলি কলিতা , এক পুত্র এক কন্যা সহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন । মৃত্যুর পর তার মরদেহ করিমগঞ্জের নীলমণি রোডের বাড়িতে নিয়ে আসা হয় । আজ বিকেলে তাঁর অন্ত্যে্টিক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে জানা গেছে । উল্লেখ্য, শান্তনু দাসের মূল বাড়ি বারইগ্রামের শেরপুর গ্রামে । উল্লেখ্য, বারইগ্রামের এককালের জমিদার ,স্বাধীনতা সংগ্রামী প্রয়াত চারু কুমার দাসের দশম পুত্র এবং একাদশ সন্তান ছিলেন ডা শান্তনু দাস । পড়াশুনোর ক্ষেত্রে শান্তনু দাস ছিলেন খুব মেধাবী ছাত্র। বারইগ্রামের জফরগড় উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল থেকে ১৯৮৩ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন , করিমগঞ্জ কলেজ থেকে প্রি ইউনিভার্সিটি পাশ করে ভর্তি হন ডিব্রুগড় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে । বড় ভাই চিরঞ্জিত দাসের তত্ত্বাবধানে ডাক্তারি পাশ, পরবর্তীতে প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ চিকিৎসায় পিজি করেন তিনি । চাকরি পেয়ে করিমগঞ্জ চলে আসেন । করিমগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে সুনামের সঙ্গে দীর্ঘকাল কাটিয়েছেন তিনি ।