অনলাইন ডেস্ক : বেহাল মহাসড়কের উপর টোলগেট বসিয়ে টোল কর আদায় সহ টোলগেটে মারপিটের ঘটনার পর বেহাল মহাসড়ক সংস্কারে নির্মাণ সংস্থা হাত লাগালেও বারবার নিম্নমানের কাজের ছবি সামনে আসছে।এতে সচেতনমহলে উঁকি দিচ্ছে নানা প্রশ্ন।এটা কি আদৌ মহাসড়ক নির্মাণ কাজ না গ্রামীণ সড়ক নির্মাণের কাজ এই প্রশ্ন উঠছে।বারবার অভিযোগের পরও মহাসড়কের মতো একটি কাজে চলছে জোড়াতালি।শিলচর-হাফলং-সৌরাষ্ট্র সড়ক সংস্কারের কাজে এমন গাফিলতি নিয়ে বড়খলার বিভিন্ন দল-সংগঠনের মধ্যে বিরাজ করছে ক্ষোভ।উল্লেখ্য,দীর্ঘ বছর আগে শুরু হয়েছিল প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর স্বপ্নের এই মহাসড়ক নির্মাণের কাজ।এ সড়কের মাধ্যমে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী,পঞ্জাব থেকে ব্রক্ষ্রদেশকে জুড়ে দেওয়ার মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থার এক নতুন দিক খুলে দেওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন বাজপেয়ীজি।এতে বহু বছর আগে শিলচর-হাফলং-সৌরাষ্ট্র সড়কের কাজ শুরু হলেও এখন পর্যন্ত শিলচর থেকে হাফলং পর্যন্ত বড়খলা অংশের কাজও শেষ হয়নি।বড় বিষয় হচ্ছে,বালাছড়া থেকে শিলচর পর্যন্ত যে কাজ কয়েক বছর আগে হয়েছিল সেটুকুর উপযুক্ত সংস্কার না হওয়ায় এই অংশ শুধু বেহাল নয় ঘনঘন দুর্ঘটনা ঘটছে।আর ভাঙাচোরা মহাসড়কের উপর বালাছড়ায় টোলপ্লাজা বসিয়ে টোলকর আদায় শুরু হতেই
বিতর্কের ঝড় উঠেছে।স্থানীয় লোকের কথায়,সড়কের উপর থেকে সরকারের টোলকর আদায়ের প্রয়োজন রয়েছে।তবে বেহাল সড়কের উপর টোলগেট বসিয়ে টোল কর আদায়ের ঘটনার সাক্ষী বালাছড়া টোলপ্লাজা।আর এ ব্যাপারে ঘনঘন খবর প্রকাশের পর মহাসড়কের বালাছড়া থেকে শিলচর অভিমুখে সংস্কার কাজ শুরু হয়।একদিকে সংস্কার কাজ চললেও অন্যদিকে ভেঙে পড়ছে সড়ক।এমন সংস্কার কাজ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বড়খলার অগ্রণী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেডো-র সম্পাদক অজিত দাস।তিনি বলেন,মহাসড়ক নির্মাণের কাজে সরকার নির্মাণ সংস্থাকে পাওনা টাকা যেভাবে চুকিয়ে যাচ্ছে সেভাবে কাজ করছে না নির্মাণ সংস্থা।নির্মাণ সংস্থার এমন কাজের ফলে বদনাম হচ্ছে সরকারের অজিতবাবু এসব বিষয় নিয়ে শিলচরের সাংসদ ডাঃ রাজদীপ রায় ও কাছাড়ের জেলাশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।