অনলাইন ডেস্ক : এবার আর সীমানা দেওয়াল বা গেট নয়, সরাসরি বড় বড় পাকা ভবনে পড়ল এক্সকেভেটর(বুলডোজার)-এর আঁচড়। দেখতে দেখতেই গুঁড়িয়ে দেওয়া হল সরকারি জমি জবর দখল করে গড়ে তোলা ভবনগুলোর অংশ।নালা ও ফুটপাত তৈরির জন্য গত শুক্রবার উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয় শহরের অম্বিকাপট্টি চৌরঙ্গী থেকে ভারতী কর্নার মোড় পর্যন্ত বড় নালার দিকের অংশে। এরপর রবিবার অভিযান চলে ভারতীকর্নার মোড় থেকে সুভাষনগর মোড় পর্যন্ত। এদিনও অভিযান চালানো হয় বড় নালার দিকের অংশে।
চৌরঙ্গী থেকে ভারতী কর্নার মোড় পর্যন্ত অংশে উচ্ছেদে থাবা পড়েছে মূলত বিভিন্ন বাড়ির সীমানা দেওয়াল ও গেট সহ দোকান বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের একেবারে সামনের অংশে। তবে এদিনের অভিযানে দেখা যায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সীমানা দেওয়াল পার হয়ে বাড়ি বা প্রতিষ্ঠানের একেবারে মূল ভবনের কিছুটাও গড়ে উঠেছে জবরদখল করা সরকারি জমির উপর। এসবের মধ্যে যেমন রয়েছে দীর্ঘ বছর ধরে থাকা পুরনো ভবন, তেমনি রয়েছে নির্মীয়মান কয়েকটি ভবনও। এই পুরনো ভবনগুলোর পাশাপাশি অর্ধনির্মিত এসব ভবনেরও জবরদখল করা অংশ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
বর্ষণস্নাত দিনে এদিনের উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয় সকাল থেকে। নিরাপত্তারক্ষীদের কড়া প্রহরায় প্রশাসন ও পুরসভার কর্তাব্যক্তিদের তত্ত্বাবধানে এভাবে একের পর এক ভবনের সামনের অংশ গুড়িয়ে দেওয়া হলেও কেউ অবশ্য প্রতিবাদমুখর হননি। শুক্রবার লাগোয়া চৌরঙ্গী থেকে ভারতী কর্নার পর্যন্ত অংশে প্রতিবাদের মাঝেও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা যেভাবে অনড় মনোভাব দেখিয়েছেন, হয়তো সেই অভিজ্ঞতা থেকেই এদিন আর কেউ প্রতিবাদের রাস্তায় এগিয়ে যাননি।