অনলাইন ডেস্ক : অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী নিযুক্তিতে কারচুপির অভিযোগ ! ৯৪ নং কেন্দ্রের সার্ভে প্রতিবেদনে বাদ স্থানীয় আবেদনকারীর নাম , রহস্যজনক ভাবে সার্ভে প্রতিবেদনে স্থান পেয়েছে বহির্জেলার এক প্রার্থীর নাম ! নিযুক্তি কারচুপির অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণ করিমগঞ্জের নিলামবাজারে। রাজ্য যখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির সরকার চলছে , রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী ড৹ হিমন্তবিশ্ব শর্মার কার্যকালে স্বচ্ছ নিযুক্তির নজির গড়েছে আসাম । ঠিক সেই সময়ে দাড়িয়েও দক্ষিণ করিমগঞ্জে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী নিযুক্তির গোড়াতেই দালালদের কালো ছায়া ধরা পড়েছে । এতেই প্রমাণিত সরকারের হাজারও কঠোরতার মধ্যেও বসে নেই দালালরা।
দক্ষিণ করিমগঞ্জ আইসিডিএসের অধিনস্থ নিলামবাজারে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী-সহায়িকা নিযুক্তিতে বড়সড় কারচুপি ও কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে এসেছে । কর্মী পদে আবেদনকারী উপযুক্ত প্রার্থীর নাম সার্ভে প্রতিবেদনে বাদ দিয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে হোজাইর বাসিন্দা এক দম্পতির নাম । দক্ষিণ করিমগঞ্জ আইসিডিএস প্রকল্পে নিযুক্তির ক্ষেত্রে এই কারচুপির দায়ে ভূক্তভোগী আবেদনকারী কাটগড়ায় তুলেছেন নিলামবাজার এলাকার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র সমূহের দায়ীত্বপ্রাপ্ত সুপারভাইজার সাবান সুলতানা তাপাদারকে । মঙ্গলবার নিযুক্তির সাক্ষাতকার গ্রহণের কথা ছিল , তার একদিন আগেই নিযুক্তি পর্বের গোড়াতেই কেলেঙ্কারির অভিযোগে নালিশ গড়িয়েছে করিমগঞ্জ জেলাশাসক সকাশে । পৃথক ভাবে বিষয়টি নালিশ জানানো হয়েছে দক্ষিণ করিমগঞ্জ আইসি ডিএস প্রকল্পের সিডিপিওকেও । সাক্ষাতকার সহ যাবতীয় প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ জারি করে অভিযোগের উচ্ছস্থরীয় তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে । বিভাগীয় তরফে তাৎক্ষণিক বিষয়টি খতিয়ে দেখে বিহীত ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে আদালতের দারস্থ হবেন বলে সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন বঞ্চনার শিকার ভূক্তভোগী । অভিযোগে প্রকাশ , নিলামবাজারের ৯৪ নং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খালি থাকা কর্মী পদে আবেদন করেছেন একই গ্রামে বাবার বাড়ি ও স্বামীর বাড়ি থাকা স্নাতক উত্তীর্ণ প্রার্থী রুহেনা বেগম । কিন্ত দেখা গেছে , বিভাগীয় তরফে যে সার্ভে তালিকা সদ্য প্রকাশ করা হয়েছে এতে কেন্দ্রের সার্ভে তালিকায় ওই আবেদনকারীর নাম বাদ দেওয়া হয়েছে । অথচ বিভাগীয় নিযুক্তি গাইড লাইনে স্থানীয়দের অগ্রাধিকারের কথা উল্লেখ রয়েছে । ভূক্তভোগী রুহেনা বেগমের স্বামী নজমুল ইসলাম খান অভিযোগ করে বলেন , সার্ভে তালিকার এক নম্বরে যে আবেদনকারীর নাম স্থান পেয়েছে সেই প্রার্থী এলিজা বেগম , স্বামী সাদ্দাম হোসেন উনি নাকি বৈবাহিক সূত্রে হোজাইর বাসিন্দা ওই প্রার্থীর নাম কেন্দ্রের সার্ভে প্রতিবেদনে স্থান পেয়েছে অথচ সার্ভে স্থান পায়নি স্থানীয় স্থায়ী বাসিন্দা তার স্ত্রীর । রুহেনা বেগমের পৈতৃক বাড়ি এবং তার স্বামী বাড়ি উভয়ই ৯৪ নং কেন্দ্রের অধিনে রয়েছে । তার অভিযোগ , চক্রান্ত করে সুপারভাইজার সাবানা সুলতানা তাপাদারের সরাসরি মদতে উপযুক্ত প্রার্থ তার স্ত্রী রুহেনা বেগমের নাম সার্ভে তালিকায় বাদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে ম্যাজিষ্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের দাবি তুলেছেন । সুবিচার না পেলে তারা বঞ্চনার বিরুদ্ধে আইনের দারস্থ হবে বলে জানিয়েছেন নজমুল ইসলাম খান ।