অনলাইন ডেস্ক : বরাক নদী দিয়ে যাত্রীদের আসা যাওয়ার ক্ষেত্রেও ইনারলাইন পারমিট চাইছে মনিপুর পুলিশ। মনিপুর পুলিশের হাতে হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে নৌকা যাত্রী সহ মৎস্যজীবীদের । আজ বুধবার এই অভিযোগ করে কাছাড়ের অতিরিক্ত জেলাশাসক তথা লক্ষীপুর মহকুমার ভারপ্রাপ্ত মহকুমাধিপতি সুদীপ নাথের সাথে দেখা করে এক স্মারকপত্র প্রদান করেছেন বরাক উজানের লোকজন সহ মৎস্যজীবীরা । স্মারক পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে কাছাড়ের লক্ষীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বেশ কয়েকটি গ্রাম রয়েছে বরাক নদীর উজানে । তাদের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম নদী পথ । ফুলেরতল থেকে নদীপথে দেড়ঘন্টা পাড়ি দিলেই পৌঁছা যায় জিরিমুখে । জিরিমুখ থেকে বরাকনদীর উজানে বাম তীর মনিপুর এবং ডান তীর আসাম । কিন্তু আসামের যাত্রীরা নিজ রাজ্যের নদীপথে নিজ বাড়িতে আসা যাওয়া করতে জিরিমুখে মনিপুর পুলিশের কাছে নানা ভাবে হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে । আসাম সরকারের মৎস্য শিকারের অনুমতি পত্র থাকা সত্ত্বেও মৎস্যজীবীদের মনিপুর পুলিশ শিকার করা মৎস্য ছিনিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে । বরাক উজানে থাকা মহাবীর মন্দীরে কীর্তন শুনার উদ্দ্যেশ্যে যাওয়া লোকজন ও মনিপুর পুলিশের কাছে হেনস্থার শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ। জিরিমুখে কর্তব্যরত মনিপুর পুলিশ ও ভিডিএফরা যাত্রীদের নৌকা থামিয়ে ইনারলাইন পারমিট দেখানোর জন্য চাপ সৃষ্টি করে ।