অনলাইন ডেস্ক : বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধে করিমগঞ্জ পুলিশের ব্যাপক অভিযান। এক রাত্রে পুলিশের জালে আটক ৭৯ অভিযুক্ত। জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ৩০ জন স্বামী এবং ৪৯ জন নিকটাত্মীয় দের পাকড়াও করেছে । এদের বিরুদ্ধে পক্সো আইনে মামলা দায়ের করে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ ।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর সক্রিয় হয়ে উঠে করিমগঞ্জ পুলিশ। বাল্য বিবাহে জড়িতদের বিরুদ্ধে অভিযান তীব্র করার পাশাপাশি দোষিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ।জেলার বিভিন্ন থানায় মোট ৯২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের রয়েছে । এরমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে ৭৯ জনকে। এরমধ্যে স্বামী হলেন ৩০ জন। অন্যদিকে ৪৯ জন নিকট আত্মীয়কেও গ্রেফতার করা হয়েছে।এ প্রসঙ্গে আজ পুলিশ সুপার পদ্মণাভ বরুয়া বলেন বাল্য বিবাহের ফলে সমাজকে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় । পুলিশ সুপারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জেলার বিভিন্ন এলাকায় আটক হওয়ার তালিকা হল রাতাবাড়িতে ১৯, রামকৃষ্ণ নগরে ১৮, বদরপুরে ১২, বাজারিছড়ায় ১০, নিলাম বাজারে ৮, করিমগঞ্জ ৭ এবং পাথারকান্দিতে ৫ জন। এদের সবাইকে সংশ্লিষ্ট থানায় রাখা হয়েছে। তিনি বলেন এই বাল্য বিবাহের সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড়া হবে না । দোষির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাজ্যের নাবালিকা বিবাহকারীদের বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত মুখ্যমন্ত্রী । পুলিশ অধীক্ষক বলেন দোষিদের বিরুদ্ধে প্রিভেনশন অব চাইল্ড প্রোটেকশন অ্যাক্ট এবং পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছে। তিনি বলেন নাবালিকা মেয়েদের বিবাহ দেওয়া আইন বিরুদ্ধ। এগুলো বন্ধ হওয়া জরুরি। নাবালিকা বিবাহ বহু বছর ধরে চলে আসছে। এরফলে বহু নাবালিকা সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় মৃত্যু মুখে পতিত হচ্ছে। কিন্তু এরপরও এগুলো বন্ধ হচ্ছে ন। এবার পুলিশ কঠোর হওয়ায় বাল্যবিবাহ বন্ধ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও অনেক আগে থেকে পুলিশ এ ব্যাপারে কঠোর ছিল কিন্তু বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর আরো সক্রিয় হয়ে উঠেছে পুলিশ । যারা এখনো আটক হয় নি এদের শীঘ্রই আটক করা হবে । যাদের আটক করা হয়েছে এদের জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে এবং বিবাহ সংক্রান্ত তথ্য আদায় করে জড়িত অন্যান্যদের পাকড়াও করা হবে ।
বাল্য বিবাহ রোধ করতে রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী ড হিমন্তবিশ্ব শর্মার কঠোর নির্দেশে সমগ্র রাজ্যের সঙ্গে লক্ষীপুরে ও ধরপাকড় শুরু হয়েছে।আজ শুক্রবার লক্ষীপুর থানা গ্রেফতার হয়েছেন ২ জন,জয়পুর থানায় গ্রেফতার হয়েছেন ৫ জন। লক্ষীপুর পুলিশ রুকনি চা বাগান থেকে বাল্যবিবাহের অভিযোগে কিষানলাল সাবর নামের এক স্বামীকে গ্রেফতার করেছে। বিভাষ সাবর নামের আরেক পিতাকে পুত্রের বাল্যবিবাহের অভিযোগে রুকনি চা বাগান থেকে গ্রেফতার করেছে লক্ষীপুর পুলিশ। অন্যদিকে জয়পুর থানায় গ্রেফতার হয়েছেন পাচজন।তারা সবাই পূর্ব কনকপুর গ্রামের। সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে লক্ষীপুর ও জয়পুর থানায়। ধরপাকড়ের খবর পেয়ে অনেকেই পালিয়ে গেছেন। বাল্যবিবাহের অভিযোগে একদিন গ্রেফতার হতে হবে এমন কোন ভাবনা ছিল না তাদের।