অনলাইন ডেস্ক : মেঘালয়কে মডেল রাজ্যে পরিণত করাটাই টার্গেট। সেরাজ্যে দলীয় ইস্তেহার প্রকাশ করতে গিয়ে দাবি করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । তাঁর দাবি, এই ভিশন ডকুমেন্ট গোটা বিশ্বকে দেখিয়ে দেবে মেঘালয় কী করতে পারে। অভিষেকের দাবি, সাধারণ মানুষ এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনার পরই এই ইস্তেহার প্রকাশ করা হয়েছে। যারা যারা তৃণমূলকে বহিরাগত দল হিসাবে দেগে দিয়েছে, মেঘালয়ের সেই দলগুলিকেও তোপ দেগেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। অভিষেক বলেন, যারা আমাদের বহিরাগত বলছিলেন, তাঁরা এখনও ইস্তেহার প্রকাশ করতে পারল না। আমরা চারদিনের মধ্যে ইস্তাহার প্রকাশ করে দিলাম। এতেই বোঝা যায় মেঘালয়ের মানুষের প্রয়োজন কারা বেশি বোঝে।
১। ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যের উন্নয়নের গতি দ্বিগুণ করা হবে। জিডিপি বৃদ্ধি হবে দুই সংখ্যায়।
২। আগামী পাঁচ বছরে প্রতিবছর ৪ হাজার করে MSME প্রতিষ্ঠিত হবে।
৩। পাঁচ বছরে ৩ লক্ষ চাকরি দেওয়া হবে।
৪। ২২ থেকে ৪০ বছরের যুবকদের মাসিক হাজার টাকা করে বেকার ভাতা।
৫। উচ্চমাধ্যমিক এবং কলেজ পড়ুয়াদের ১ লক্ষ ল্যাপটপ।
৬। সরকার গঠনের ১০০ দিনের মধ্যে মাসিক ১ হাজার টাকা করে পাবেন মহিলারা।
৭। সব পেনশন এবং সামাজিক যোজনায় বরাদ্দ মাথাপিছু ন্যূনতম হাজার টাকা করে করা হবে।
৮। রাজ্যের ২ লক্ষ ১০ হাজার কৃষক পাবেন বার্ষিক ১০ হাজার টাকা।
অভিষেক এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তাঁদের এই ইস্তেহারে শুধু প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি। এগুলো তৃণমূলের সংকল্প। আর তৃণমূল নিজেদের সংকল্প রক্ষার জন্য শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়াই করবে। প্রশ্ন উঠতেই পারে, এত প্রকল্পের টাকা আসবে কথা থেকে। যার জবাবও দিয়েছেন অভিষেক। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, মেঘালয় সরকারের হাতেই বিপুল টাকা রয়েছে। কিন্তু এই সরকার এতটাই অপদার্থ যে, নিজেদের ক্ষমতাকে ব্যবহারও করছে না।