অনলাইন ডেস্ক: কুড়ি বছর ধরেই অর্ধনির্মিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে করিমগঞ্জ জেলার দক্ষিণ করিমগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের বরুয়ালার স্বাস্থ্যকেন্দ্র। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জন্য নয় বিঘা জমি দান করেছিলেন স্থানীয় জনগণ। কিন্তু এদিকে ফিরেও তাকাননি বিধায়ক সিদ্দেক আহমদ।এ নিয়ে বর্তমান সাংসদ কৃপানাথ সহ মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েও সুফল মিলেনি। তাই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি চালু করার আর্জি জনগণের। রাজ্য সরকার স্বাস্থ্য বিভাগের উন্নয়নের জয়গান গেয়ে বেড়ালেও গ্রামাঞ্চলের স্বাস্থ্য পরিষেবা সেই তিমিরেই রয়েছে। করিমগঞ্জ জেলার দক্ষিণ করিমগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র উন্নত বিধানসভা কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।কারন এই কেন্দ্রের নির্বাচিত বিধায়ক আব্দুল মুক্তাদির চৌধুরী ও সিদ্দেক আহমদ মন্ত্রিত্ব লাভ করেছিলেন। বর্তমান বিধায়ক সিদ্দেক আহমদ কংগ্রেসের তরুণ গগৈ মন্ত্রিসভায় সংসদীয় সচিব,প্রতিমন্ত্রী এমনকী পূর্ণ মন্ত্রী পর্যন্ত হয়েছেন। বর্তমানে বহিষ্কৃত কংগ্রেসি বিধায়ক সিদ্দেক মুখ্যমন্ত্রী ড.হিমন্ত বিশ্ব শর্মার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। কিন্ত এরপরও নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের উন্নয়নে পুরোপুরি ব্যর্থতা দেখিয়ে আসছেন তিনি। করিমগঞ্জ জেলার মধ্যে দক্ষিণ করিমগঞ্জ এমন একটি কেন্দ্র যেখানে কোনও উন্নয়ন খণ্ডের কার্যালয় আজও স্থাপিত হয়নি। বিধানসভা কেন্দ্রের বেশিরভাগ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অবস্থা শোচনীয়। বরুয়ালা জিপিতে আব্দুল মুক্তাদির চৌধুরী বিধায়ক থাকাকালীন সময়ে একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র বরাদ্দ হয়। বরুয়ালা গ্রামের জনগণ এজন্য নয় বিঘা মূল্যবান জমি তখনকার সময়ে দান করেন। যথারীতি পরবর্তীতে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নিরমাণের জন্য অর্থ মঞ্জুর হয়। বিরাট আকারের গৃহ নির্মিত হয়।কিন্তু নির্মিত গৃহের উপরের ছাদ লাগানোর সময় রহস্যজনকভাবে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। আর এভাবেই কুড়ি-পঁচিশ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। বিধায়ক সিদ্দেক আহমদের কাছে বারবার কাজ শেষ করার দাবি জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। বরুয়ালা গ্রামের প্রবীণ নাগরিক তথা প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক হরমোহন রায় বলেন,এলাকার গরিব জনগণের কথা চিন্তা করে মূলত তারই উদ্যোগে এলাকার মানুষ নয় বিঘা মূল্যবান জমি দান করেছিলেন। কিন্ত সেই স্বপ্ন পূরণ হয়ে উঠেনি আজ অবধি।কোনও প্রতিশ্রুতিই রক্ষা করেননি স্থানীয় বিধায়ক সিদ্দেক আহমদ।কংগ্রেস আমলের প্রভাবশালী মন্ত্রী গৌতম রায়কে নিয়ে এলেও কোনও লাভ হয়নি। বর্তমান সাংসদ কৃপানাথ মালা এমনকী আগের বিজেপি সরকারের আমলে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা স্বাস্থ্যমন্ত্রী থাকার সময় রামকৃষ্ণনগর এলে তাঁকে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। তিনি বলেন,সরকার যদি স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি নির্মাণ না করে তবে জনগণকে তাদের দানকৃত জমি ফিরিয়ে দেওয়া হোক। আর না হলে শীঘ্র চালু করা হোক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি। এ ব্যাপারে তিনি মুখ্যমন্ত্রী ড.হিমন্ত বিশ্ব শর্মার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।