সাময়িক প্রসঙ্গ, নয়াদিল্লি, ২ জানুয়ারি : চিনা সীমান্ত হয়ে ফের বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসের লাল সংকেত জারি করেছে তথাকথিত করোনা ভাইরাস। মাও সেতুঙের দেশে ফের মহামারী হয়ে আগমন কোভিডের। হাসপাতালগুলি ভরে গেছে। আবার মৃত্যু সংখ্যাও নেহাৎ কম নয়। জিংপিং প্রশাসন সঠিক তথ্য না দিলেও দিনে আক্রান্তের সংখ্যার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে চিনে তিন চার হাজারের মত মৃত্যু তো ঘটছেই। যা এই মুহূর্তে মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে দিল্লির। একে তো বিজ্ঞানীদের ভবিষ্যতবাণী। তারউপর আবার নিউ ইয়ার পার্টি সিজন। তাই শঙ্কিত কেন্দ্র সাবধান করে দিয়েছে দেশবাসীকে।
দূরত্ববিধির তোয়াক্কা না করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বহু মাস্কহীন মুখ মেতেছে উৎসবে। এই দৃশ্যই উদ্বেগ বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের। তাদের আশঙ্কা, এই বেপরোয়া ভিড় দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী করতে পারে। আর স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিড়ের ফলে আগামী সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে করোনা রোগীর সংখ্যা অনেকটাই বাড়তে পারে। এই পরিস্থিতিতে দেশীয় ওষুধ উৎপাদনকারী সংস্থাগুলিকে করোনা চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ওষুধের দেশীয় চাহিদাকে মাথায় রেখেই বিদেশে রফতানির পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রক।
কেন্দ্রের পর্যবেক্ষণ, বর্ষবরণ উপলক্ষে গত দুদিনে বিপুল সংখ্যক লোক পথে নেমেছিলেন। তার উপরে, সপ্তাহান্তের ছুটির কারণে পর্যটনস্থলগুলিতেও ছিল উপচে পড়েছে ভিড়। এই ভিড়ের ফলে দেশে নতুন করে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
দেশে গত ১০ দিনে কোভিড-আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা বাড়লেও, সার্বিক ভাবে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।