অনলাইন ডেস্ক : বড়সড় এক চোর চক্রের সন্ধান পেল শিলচর পুলিশ।বেশ কিছু চুরির সামগ্রী উদ্ধারের সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই চক্রের সঙ্গে জড়িত এক মহিলা ও দুই জুয়েলারি মালিক সহ ১২ জনকে। উদ্ধার করা সামগ্রির মধ্যে সিমেন্ট মিকচার মেশিন,বেশ কিছু গামলা,পিতলের কলস,হেলমেট,ইত্যাদি সহ কিছু স্বর্ণালংকারও ।
ধৃত মহিলা রুবি দাস(২৮) শহরের ইটখোলা আর্য পট্টির বাসিন্দা। দুই জুয়েলারি মালিকের মধ্যে একজন ওমকার মালি(২৫) মূলত মহারাষ্ট্রের সাঙ্গলি এলাকার বাসিন্দা। তবে এখানে ব্যবসার সূত্রে তার ঠিকানা শহরের এন এন দত্ত রোড। অন্যজন দিব্যেন্দু রায় (৪১) কনকপুর দ্বিতীয় খন্ডের বাসিন্দা। বাকিরা হলো মালুগ্রাম বি সি গুপ্ত রোডের আব্দুল কালাম লস্কর (২০) ও সঞ্জয় সিং ওরফে নয়না (৩৪), চাঁদমারি রোডের সাগর দাস (২০), রংপুর করাতি গ্রামের নারদ দাস(৪৩),ধলাই হাতিখালের কবীর হোসেন(২৮), বিহাড়া সাইরন বস্তির রাজু সাহা (১৯) ও হোজাই সুভাষনগরের সইফ আলি(২৭)। ধৃত১২ জনের মধ্যে অন্য দুইজনের নাম তদন্তের স্বার্থে পুলিশ খোলসা করতে রাজি হয়নি।
পুলিশ সুপার নূমল মাহাতো জানিয়েছেন, প্রথমে গ্রেফতার করা হয় নাম প্রকাশ না করা দুজনকে। এরপর এদের সূত্রে অন্যদের কথা জানার পর বৃহস্পতিবার ভোররাতে শহরের সদরঘাট সেতুর নিচে থেকে পাকড়াও করা হয় কয়েকজনকে। সেখান থেকে উদ্ধার হয় কিছু সামগ্রীও।সেতুর নিচে বসে এরা নিজেদের মধ্যে শলা পরামর্শ করছিল। এদের পাকড়াও করার পর জানা যায় রুবি দাস নামে মহিলা ও দুই জুয়েলারি মালিকের কথা।এরপর গ্রেফতার করা হয় এদেরও।
পুলিশ সুপার জানান,ধৃতরা সবাই একই চক্রের সঙ্গে জড়িত।চক্রে একেকজনের একেক ভূমিকা রয়েছে। কারো কাজ শুধু চুরি করা,চুরির পর অন্য সামগ্রী হলে শুটকি পট্টি সংলগ্ন এলাকার এক চুরির সামগ্রীর কারবারীর কাছে তারা সমঝে দেয় সেসব।আর স্বর্ণালংকার হলে সমঝে দেয় দুই জুয়েলারি মালিককে।জুয়েলারি মালিকরা ও শুটকি পট্টি সংলগ্ন এলাকার চোরাই সামগ্রির কারবারি এর বিনিময়ে তুলে দেয় অর্থ। যেসব স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়েছে সেসব ইটখোলা এলাকারই এক বাড়ি থেকে চুরি করেছিল রুবি দাস। এরপর বিক্রি করেছিল দুই জুয়েলারি মালিকের কাছে।পুলিশ শুটকি পট্টি সংলগ্ন এলাকার চোরাই সামগ্রীর কারবারির বাড়িতেও অভিযান চালিয়েছে,তবে তাকে পাওয়া যায়নি।
পুলিশের অন্য এক সূত্রে জানা গেছে,ধৃতরা যে তথ্য দিয়েছে সে অনুযায়ী-চুরির পর তারা বিভিন্ন সামগ্রী লুকিয়ে রাখে সদরঘাট সেতুর নিচে গোপন ডেরায়। এরপর সুযোগ বুঝে সেসব সরিয়ে নিয়ে বিক্রি করে দেয় শুটকিপট্টি সংলগ্ন এলাকার চোরাই সামগ্রীর কারবারি বা অন্য কারো কাছে।এদিন ভোররাতেও তারা চোরাই সামগ্রির কারবারীর কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য সদরঘাট সেতুর নিচে সমবেত হয়ে শলা পরামর্শ করছিল।
জানা গেছে পুলিশের এই অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন সদর থানার টিএসআই শুভ্রজ্যোতি দত্ত ও মালুগ্রাম ফাড়িতে কর্তব্যরত আধিকারিক লক্ষজ্যোতি গগৈ।