অনলাইন ডেস্ক: ‘ অসম প্রিমিয়ার ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপের বিজয়ী দলকে বরণ করার আনন্দই মাটি করে দিলেন শিলচর ডিএসএ-র মুষ্টিমেয় কয়েকজন কর্মকর্তা। এরা কেন আমাদের এই সুন্দর অনুষ্ঠানে এসেছিলেন? অনুষ্ঠানকে বানচাল করার দুরভিসন্ধি ছিল তাদের। তারা সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, আমি ডিএসএ-কে অপমান করেছি, আসল সত্যের অনুসন্ধান করলেই সব কিছু পরিস্কার হয়ে যাবে। আমি ডিএসএ-কে অপমান করিনি। ডিএসএ-কে অপমান করেছেন তারাই, যারা ইটখলা ক্লাবের আনন্দে জল ঢেলে দিতে পরিকল্পনার ছক কষে ছিলেন। আমরা ডিএসএ-র জিবি সভায় এর তদন্তের আবেদন জানাবো। আর তদন্তে আসল সত্য বেড়িয়ে আসলে দোষী সাবস্তদের উচিত শিক্ষা দেওয়ার দাবি জানাবো।’ মঙ্গলবার শিলচর রেল স্টেশনে হয়ে যাওয়া ঘটনার স্পষ্টিকরণ দিতে গিয়ে অনর্গল কথা গুলি বলে গেলেন ইটখলা ক্লাবের প্রাক্তন সচিব তথা শিলচর ডিএসএ-র প্রাক্তন সচিব বিজেন্দ্র প্রসাদ সিং (বাদসা)।
গতকালের ঘটনা জনসমক্ষে আনতে বুধবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করে ইটখলা এসি। ক্লাবের পক্ষে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি রতন সিং, সচিব পঙ্কজ সিং ও কার্যকরী সদস্য বিজেন্দ্র প্রসাদ সিং।
সাংবাদিকদের কাছে বিজেন্দ্র জানান, জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে অনুমোদিত ক্লাব গুলির অভিভাবক সংস্থা হিসেবেই ধরা হয়। স্বাভাবিক ভাবেই অনুমোদিত ক্লাব হিসেবে ইটখলা অ্যাথলেটিকও আশা করেছিল তাদের দিক থেকে একটা অভিনন্দন বার্তা আসবে। কিন্তু বিভিন্ন ক্লাব – সংস্থা থেকে শুভেচ্ছা বার্তার মাধ্যমে খেলোয়াড়দের উৎসাহীত করা হলেও জয়ের ৪৮ ঘন্টার মধ্যেও অভিভাবক সংস্থা হিসেবে অভিনন্দন জাননোর নুন্যতম সৌজন্যতাও দেখাননি ডিএসএ-র কর্তারা। এনিয়ে দু:খ ছিল ইটখলা এসি -র সভাপতি, সচিব এবং সদস্যদের মধ্যে।
বিজেন্দ্র বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে দল এসে পৌঁছবে শিলচরে, সকাল ৯.৩৭ মিনিটে ডিএসএ সচিব দলকে স্বাগত জানানোর জন্য হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে সদস্যদের দুপুর ১২ টায় শিলচর রেল স্টেশনে উপস্থিত থাকতে আহ্বান জানান। এরপরই ডিএসএ-র প্রাক্তন সচিব হিসেবে পরিস্থিতির বিবেচনা করে কয়েকজন শীর্ষ পদাধিকারীকে ক্লাবের অনুষ্ঠানে না এসে সংস্থায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করার পরামর্শ দিয়ে ছিলাম। এরমধ্যে ছিলেন ৩ জন সহ সভাপতি ও ২ জন সহ সচিব। তাদের কাছে অনুরোধ রেখেছিলাম, সংবর্ধনা দিতে আসলেও তারা যেন ইটখলা এসি -র সভাপতি এবং সচিবকে জানিয়ে রাখেন। কিন্তু সেটাও করেননি তারা। তাহলে বুঝাই যাচ্ছে তাদের স্টেশনে আসাটা একটা পরিকল্পিত ছক ছিল। কয়েকজন সদস্য সজাগ থাকায় বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়নি ঠিকই কিন্তু ক্লাবের সবারই দিনটি কেটেছে বিষাদের মধ্যে দিয়ে। ‘
বিজেন্দ্র জানান, ডিএসএ-র বর্তমান কমিটির সঙ্গে ইটখলা এসি -র কোনও দন্দ নেই। কিন্তু যা ঘটেছে সেটার সত্যতা জনসমক্ষে আনতেই আজকের এই স্পষ্টিকরণ। ইটখলা ক্লাবের সচিব পঙ্কজ সিং বলেন,’ মঙ্গলবার সকাল ১১.১৭ মিনিটে ডিএসএ সচিব ফোন করেছিলেন, কিন্তু আয়োজনে ব্যস্ত থাকায় সেই ফোন ধরা সম্ভব হয়নি। অসম প্রিমিয়ার ক্লাব চ্যাম্পয়নশিপের পরিধি সম্পর্কে জানা যায় – এখানে রাজ্যের ৪১টি জেলা উপজেলা অংশ নিয়েছে। অংশ নিয়েছে ৩৭২ টি ক্লাব দল। জোন পর্বে খেলেছে ৪০টি দল। এরপর মুল পর্বের ১২টি দলের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দল হয়েছে ইটখলা এসি।