অনলাইন ডেস্ক : গাছের ডালে বাধা দীর্ঘ রশির মাঝের অংশ,আর দুদিকে গলায় ফাঁস পরানো অবস্থায় ছিল এক বছর ২০-এর যুবক ও বছর ১৫ র নাবালিকার মৃতদেহ। শিলচর থানা এলাকার বাগপুর দ্বিতীয় খণ্ডে শনিবার সকালে দেখা যায় এমন হৃদয়বিদারক দৃশ্য। জাভেদ আখতার বড় ভূঁইয়া নামে ওই যুবক ও একই পদবীর নাবালিকার বাড়ি বাগপুর দ্বিতীয় খন্ডেই।এলাকাবাসী সূত্রের খবর,দুজনের মধ্যে ছিল প্রেমের সম্পর্ক। ঘটনাটা প্রেম পূর্ণতা না পাওয়ার জেরে আত্মহত্যা না “অনার কিলিং” (পরিবারের সম্মান রক্ষায় খুন ) এ নিয়ে বর্তমানে চর্চা চলছে এলাকাজুড়ে।
এলাকার বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে,জাভেদ ও নাবালিকার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও দুই পরিবারই এই সম্পর্ক মেনে নিতে রাজি ছিল না। এরমধ্যে শনিবার সকালে দুজনের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে এক নির্জন জায়গায় দেখা যায় দুজনের মৃতদেহ। এই দৃশ্য দেখে এলাকা জুড়ে শুরু হয় হইচই ।খবর পেয়ে ছুটে যায় পুলিশ।প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন,দুজনের গলায় রশি দিয়ে ফাস পরানো থাকলেও পা লেগেছিল মাটিতে। দুজনের সম্পর্ক নিয়ে দুই পরিবারের অরাজি থাকা এবং মৃতদেহ দুটির পা মাটিতে লেগে থাকার দরুন এলাকাবাসী সন্দেহ করছেন ঘটনার পেছনে লুকিয়ে থাকতে পারে অন্য রহস্য। কেউ কেউ সরাসরি সন্দেহ ব্যক্ত করেন,পরিবারের সম্মান রক্ষায় দুজনকে খুন করে ঘটনাটাকে আত্মহত্যার রূপ দিতে মৃতদেহ দুটি গলায় ফাঁস পরিয়ে গাছের ডালে ঝুলিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
তবে পুলিশ এই মুহূর্তে এ নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে রাজি নয়।পুলিশের সূত্র বলেন,কেউ ফাঁসিতে ঝোলার পর অনেকক্ষণ পার হয়ে গেলে ভারের দরুন মৃতদেহ পিছলে কিছুটা নিচে নেমে এসে পা মাটিতে লেগে যাওয়ার সম্ভাবনাও থেকে যায়। তবে এই মুহূর্তে ঘটনার পেছনে কোন রহস্য লুকিয়ে থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সূত্রটি জানান এদিনই মেডিকেলে দুজনের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই ঘটনা সম্পর্কে আচ করা সম্ভব হবে।