অনলাইন ডেস্ক : ১৮-৪৫!!!! এই অংকেই সাতসকালে ঝিমুনি কাটে নীলে নীলাম্বরী বর্ষাপাড়ার। কেরিয়ারের সন্ধিক্ষনে থাকলেও আজও ট্রেনডিং সেই রোহিত এবং কোহলিই। ফর্ম এবং ভাইরাল শট ফটের বিচারে সূর্যকুমার রা কাড়লেও হিটম্যান এবং কিং কোহলি ফ্যানদের হৃদয়ে আলাদা স্থানই জুড়ে রয়েছেন, বর্ষাপাড়ার ‘দারুণ’ ক্রেজই তা প্রমাণ করে দিল।
ক্রিকেট আর আজ আগের জায়গাতে নেই। দেড় দু দশক হলে এই স্টোরিটার কোনো দামই থাকতো না হয়তো। না ছিল তখন মিডিয়ার বাড়াবাড়ি। না ছিল আইপিএলের জুলুস। আর ছিলেন না এই বিরাট, রোহিত, হার্দিক, স্কাইরা। টিম ইন্ডিয়া বর্তমানে একটা পরিবর্তনের ফেস অতিক্রম করে এগিয়ে চলেছে। ২০০৭ টি ২০ বিশ্বকাপ এবং ২০১১ সালের ৫০ ওভারের বিশ্ব জয়ের পর উন্নতির শিখরে ট্রাক করলেও বড় সাফল্য আর ধরা দেয়নি ব্লু আর্মিকে। বিরাটরা শত চেষ্টা করেও দেশের রাজপথগুলিকে ট্রফি জয়ের প্লাটফর্ম হওয়ার সুযোগ করে দিতে পারেননি। হারজিতের কালো – বর্ণিল রাতগুলি পেরিয়ে বিরাটরা, রোহিতরা আজ প্রহর গুনছেন অবসর গ্রহণের। তরুণদের নিয়ে হার্দিক তো টি ২০ -র কাফেলার সূত্রপাত করে ফেলেছেন। হয়তো দেশে এবারের ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ জিতে বুটজোড়া তুলে রাখবেন রোহিতরা।
স্কাই, কিষানদের হাতে ব্যাটন তুলে দেওয়ার সময় হয়ে আসলেও বিরাট, রোহিতরা যে এখনও সমর্থকদের নয়নের মণি, সাক্ষী – সুবুত নিয়ে তা প্রমাণ করে দিল বর্ষাপাড়ার সমাবেশ। বিরাটের ১৮ এবং রোহিতের ৪৫ জার্সিই মঙ্গলবারের ট্রেনডিং ছিল বর্ষাপাড়ায়। ধোনির স্বর্ণালী সন্ধ্যায় বিশ্বকাপ হাতে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন বিরাট ( ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ ) এবং রোহিত ( টি ২০ বিশ্বকাপ,২০০৭)। কিন্তু একক দক্ষতায় মেসির মত রোহিত এবং বিরাটের বিশ্বজয়ের কল্পকাহিনী এখনও সংবাদ শিরোনাম হয়ে আসেনি। মাঠজুড়ে শুধু উত্তর পূর্বই নয়। খেলা উপভোগ করতে এসেছিলেন গোটা দেশের মানুষই।
আপাতত এতটুকুই কওয়া বলা যায়, ধোনি যা পেরেছেন, বিরাটরা তা এখনও পারেননি। আজ ধোনির গায়ে নেই নীল জার্সি। রয়েছে রোহিত, বিরাটদের হাতে। দুজনের হাত ধরেই বিশ্বজয়ের স্বপ্নটা হয়তো…।