অনলাইন ডেস্ক : নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন জারি করার প্রায় দু’মাস পর বুধবার নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেলেন ১৪ জন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় কুমার ভাল্লা এদিন দিল্লিতে এই ১৪ জন আবেদনকারীর হাতে নাগরিকত্বের শংসাপত্র তুলে দেন। উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার জেনারেল অব ইন্ডিয়া, ডাক বিভাগের সচিব, ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর ডিরেক্টর-সহ পদস্থ কর্তারা।
২০১৯ সালে পাশ হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। চলতি বছরের ১১ মার্চ কেন্দ্রের তরফে এই আইনের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সিএএ-র অধীনে কীভাবে আবেদন করা যাবে নাগরিকত্বের? কী কী নিয়ম রয়েছে? জেলা স্তরের কমিটির মাধ্যমে কীভাবে আবেদন করা যাবে? আবেদনগুলির যাচাই-বাছাই কীভাবে হবে? সবটা জানানো হয়েছিল বিস্তারিতভাবে। তারপর থেকেই সরকারি ওয়েবসাইটে নাগরিকত্বের আবেদন করা শুরু হয়েছে। যাচাইয়ের পর সেন্সাস অপারেশনের ডিরেক্টরের নেতৃত্বাধীন কমিটি এই ১৪ জন আবেদনকারীকে নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
উল্লেখ্য, সিএএ কার্যকর হওয়ার পর গোটা দেশের পাশাপাশি বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল রাজ্যেও। এই আইনে বলা হয়েছিল, ২০১৪-র ৩১ ডিসেম্বরের আগে, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে যে সকল অমুসলিম উদ্বাস্তু ভারতে এসেছিলেন, তাঁরাই এই আইনের অধীনে নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারেন। এইসকল শর্ত মেনেই এই ১৪ জন ভারতীয় নাগরিকত্বের আবেদন করেছিলেন। মঙ্গলবার বাংলায় নির্বাচনি জনসভা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, ‘মতুয়াসমাজ সহ অন্যান্যদের জন্য সিএএ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সিএএ-র ফলে কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না। বরং প্রতিবেশি দেশগুলিতে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হওয়া ব্যক্তিরা ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, ভোটের মধ্যেই সিএএ-র অধীনে নাগরিকত্ব পাওয়ায় ভোট বাক্সে এর বড় প্রভাব পড়বে।