অনলাইন ডেস্ক : মাজুলির মঞ্চ থেকে ফের আক্ষেপের সুর ধরে নিম্ন ও মধ্য অসমে অভিবাসী মুসলমানদের দাপটে অসমিয়া, খিলঞ্জিয়া লোকেদের জমির অধিকার হারানোর কাহিনি তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি বলেন, বরপেটা, বটদ্রবায় হেরিটেজ বেল্ট অ্যান্ড ব্লক করবে সরকার। কিন্তু অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। সেখানে খুব কম পরিমাণ জমিই উদ্ধার করা যাবে।
মাজুলি ও গহপুরে যান মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা ২ প্রকল্পে জমির পাট্টা বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। ধেমাজির কারেঙ চাপরি থেকে একশো কিলোমিটার পথ বাইক রেলি করে মাজুলিতে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। কিছুটা রাস্তা তিনি নিজে বাইক চালিয়েছেন, কোথাও আবার কোনও দলীয় কর্মীর বাইকের পেছনে উঠে বসেন। কিছু রাস্তা হেঁটেছেন, তো কোথাও খোলা গাড়িতে উঠে মানুষের অভিবাদন গ্রহণ করে এগিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী।
মাজুলিতে বিশাল এক জনসভায় ভাষণ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এখানে হেরিটেজ বেল্ট অ্যান্ড ব্লক করা হবে যাতে জনজাতিদের জমি অন্য কেউ কেনা-বেচা করতে না পারেন। এই কথার সূত্র ধরেই মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘এই ধরনের পদক্ষেপ আজ থেকে পঁচিশ বছর আগে নেওয়া হলে বরপেটা সত্রের জমি কোনও মিঞা মুসলমান দখল করতে পারত না। বটদ্রবায় জমি দখল করে বসতি স্থাপন সম্ভব হতো না।’ মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘ফাঁকা জমি পড়ে থাকলে সেখানে বসতি গড়ে উঠবেই। কিন্তু সত্ৰ-ঘেঁষা জমি দখল করে বসতি গড়ে তোলা কিছুতেই মানা যায় না’। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, জমি দখল হতে হতে এমনই অবস্থা হয়েছে নিম্ন ও মধ্য অসমে যে, এই দুই অঞ্চলে অসমিয়া, খিলঞ্জিয়ারা এখন ভূমিহীন। জমির অধিকার হারিয়েছেন তাঁরা। তিনি জানাচ্ছেন, মাজুলি, নারায়ণপুর, বরপেটা এবং বটদ্রবায় হেরিটেজ বেল্ট অ্যান্ড ব্লক করবে সরকার। মাজুলি, নারায়নপুরে দেরি হয়ে যায়নি। কিন্তু বরপেটা ও বটদ্রবায় অনেক দেরি হয়ে গেল। এই দুটো এলাকায় অল্প কিছু জমিই বাঁচানো যাবে বলে মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী। ‘বিধানসভায় একেবারে স্পষ্ট ভাষায় বলেছি, আগে জমির পাট্টা পাবেন আহোম, মরান, মটক, চুতিয়া, কোচ রাজবংশীরা। বিধানসভায় এত খোলামেলা ভাষায় কেউ এ কথা বলেননি। আমরা বলছি। কারণ জাতি-মাটি-ভেটি রক্ষার জন্য এই সরকার ক্ষমতায় এসেছে’, মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর।
অন্যদিকে, ডিলিমিটিসনের প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২০২৬ এ ১০৫টি আসনে জিতবেন অসমিয়ারা। সেই সময় বিধানসভার ভেতরের ছবিটি দেখলেই বোঝা যাবে, অসমিয়াদের রাজনৈতিক অধিকার সুরক্ষিত হয়েছে। আর অনুপ্রবেশকারীরা যতটা আসনে জেতার ততটাই জিতবেন। তার থেকে বেশি আসনে জেতার দোকান বন্ধ হয়ে যাবে।’