অনলাইন ডেস্ক : হাইলাকান্দি জেলায় ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে গুণোৎসব।চলবে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।এই গুণোৎসবকে ঘিরে উৎসবের মেজাজে রয়েছে জেলার নিম্ন প্রাথমিক,উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সঙ্গে মাধ্যমিক স্তরের বিদ্যালয়ও।হাইলাকান্দি জেলার তিনটি শিক্ষাব্লকের প্রতিটি স্কুলে সোমবার গুণোৎসবের প্রশ্নপত্র ও অন্যান্য সামগ্রী পূর্ব নির্ধারিত কার্যসূচি অনুযায়ী সিআরসিসি-র মাধ্যমে নোডাল টিচার ও বিদ্যালয় প্রধানদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।অপরদিকে এদিন সন্ধ্যায় সমগ্র শিক্ষা বিভাগের তরফে ক্লাস্টার পর্যায়ে শিক্ষকদের রিসাফলিং লিস্টও প্রকাশ করা হয়েছে।অর্থাৎ প্রধান শিক্ষক এবং নোডাল শিক্ষক ছাড়া গুণোৎসবের দ্বিতীয় দিন অন্যান্য শিক্ষকরা নিজ বিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। ক্লাস্টার পর্যায়ে শিক্ষকদের রিসাফলিং করা হয়েছে। এবার প্রথমবারের মতো ক্লাস্টার পর্যায়ে শিক্ষকদের রিসাফলিং করা হবে।তাছাড়া এবার পড়ুয়াদের উপস্থিতি ওএমআর প্রপত্রে রেকর্ড করা হবে। ছাত্রদের অনুপস্থিতি বাড়লেই বিরূপ প্রভাব পড়বে সামগ্রিক ফলাফলে।সবমিলিয়ে হাইলাকান্দি জেলায় গুণোৎসবের প্রস্তুতি চূডান্ত।তবে এবার একাধিক নতুন নির্দেশিকা গুণোৎসবের সঙ্গে যোগ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে সেগুলি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মেনে বিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষকদের যথাযথ দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইলাকান্দির শিক্ষা বিভাগের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলাশাসক ও জেলা মিশন সমন্বয়ক ত্রিদিব রায়।তিনি লিয়াজোঁ অফিসারদের প্রতিটি দিশা নির্দেশকে যথাযথভাবে কার্যকর করতে শিক্ষকদের আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করতে নির্দেশ দিয়েছেন।সেইসঙ্গে দ্বিতীয় পর্যায়ে হাইলাকান্দিতে অনুষ্ঠিত হতে চলা গুণোৎসবে প্রত্যেক পড়ুয়ার উপস্থিতি সুনিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন ডিএমসি রায়।
এবার জেলার প্রথম থেকে নবম শ্রেণী স্তরের মোট ১৩০৬টি বিদ্যালয়ে গুণোৎসব অনুষ্ঠিত হবে।প্রথম থেকে নবম শ্রেণির মোট ১ লাখ ১০ হাজার ৬৭৯ জন পড়ুয়া এতে অংশগ্রহণ করবে।গুণোৎসবের যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ১৩৭জন লিয়াজোঁ অফিসার নিযুক্ত করা হয়েছে। বিদ্যালয় পর্যায়ে ১৩০৬ জন শিক্ষককে নোডাল টিচার হিসেবে বাছাই করা হয়েছে। মোট ৫১১ জন এক্সটার্নাল বিদ্যালয় পর্যায়ে তিনদিন বাহ্যিক মূল্যায়ন সম্পন্ন করার দায়িত্বে থাকবেন।গুণোৎসবের প্রথম দিন ১ ফেব্রুয়ারি প্রতিটি বিদ্যালয়ে একইসঙ্গে স্বকীয় মূল্যায়ন সম্পন্ন হবে বিদ্যালয় স্তরে।পড়ুয়াদের পঠন দক্ষতা ও বিদ্যালয়ের বিভিন্ন নির্ধারিত দিক সার্বিক মূল্যায়নের দায়িত্বে থাকবেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও পরিচালন সমিতি।অবশিষ্ট তিনদিন ৫১১জন এক্সটার্নাল বিদ্যালয় পর্যায়ে গুণোৎসবের বাহ্যিক মূল্যায়ন কাজ সম্পন্ন করবেন।তাছাড়া তৃতীয় শ্রেণী থেকে নবম শ্রেণীর পড়ুয়া নিজের ওএমআর নিজেই পূরণ করবে।প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর পডুয়াদের ওএমআর অবশ্য শিক্ষকদের পূরণ করতে হবে।প্রথম শ্রেণীর পডুয়াদের পঠন মূল্যায়ন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলেও অন্যান্য নির্দিষ্ট মূল্যায়নে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
লালার খণ্ড শিক্ষা আধিকারিক পার্থপ্রতিম চক্রবর্তী জানিয়েছেন,লালা শিক্ষাখণ্ডের প্রতিটি স্কুলে গুণোৎসবের প্রশ্নপত্র সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র ও সামগ্রী সিআরসিসি-র মাধ্যমে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি বিদ্যালয় উৎসবের মেজাজে রয়েছে।গুণোৎসবে সব ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতি সুনিশ্চিত করতে এসএমসি সদস্য ও অভিভাবকদের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি। লালা শিক্ষাখণ্ডের এবিআরসিসি জয়কিষন সুরানা লালা শিক্ষাখণ্ডের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে জানান,মোট ৪১৬টি স্কুলে অনুষ্ঠিত হচ্ছে গুণোৎসব।এতে অংশ নিচ্ছে ৩২ হাজার ছাত্রছাত্রী।তিনদিন বিদ্যালয়ভিত্তিক যাবতীয় প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার দায়িত্বে থাকবেন ৪১৬জন নোডাল টিচার,৫৭জন লিয়াজোঁ অফিসার ও ১৪০জন এক্সটার্নাল।