লক্ষীপুর, ২৪ আগস্ট : অবিশ্বাস্য হলেও সত্য ঘটনা। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পেরিয়ে গেলেও বিদ্যুতের আলো জ্বলেনি লক্ষীপুর বিধানসভা এলাকার নারাইনপুর জিপির রেলবস্তি গ্রামে।এই গ্রামটিতে ১৮৩ পরিবারের লোকের বসবাস। বর্তমান বিধায়ক কৌশিক রাই বিধায়ক নির্বাচিত হয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ছয় মাসের মধ্যে তিনি এই গ্রামে বৈদ্যুতিক লাইন পৌছে দিয়ে আলো জ্বালিয়ে দিবেন। সেই প্রতিশ্রুতি বুধবার তিনি বাস্তবে পূরণ করে দেখালেন। ছয় মাস পূর্বে তিনি বৈদ্যুতিক লাইনের কাজ শুরু করে দেন। কাজের দায়িত্ব দেন জিরিঘাটের বিজেপি কর্মী শান্তনু চৌধুরীকে। বিধায়ক কৌশিকের যেমন কথা তেমন কাজ। ছয় মাসে কাজ সম্পূর্ণ। চারটি ট্রান্সফরমার দিয়ে দীর্ঘ লাইন টেনে বৈদ্যুতিক লাইন পৌছে দেওয়া হয় নারাইনপুর জিপির রেলবস্তিতে। কাজ সম্পন্ন, ঘরে ঘরে সংযোগ স্থাপন করা হয়। সবকিছু ঠিকঠাক করে বুধবার রেলবস্তি গ্রামের ১৮৩ পরিবারে বৈদ্যুতিক আলো জ্বালানোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিধায়ক কৌশিক রাই, সঙ্গে ছিলেন এপিডিসিএল এর চেয়ারম্যান নিত্যভূষণ দে।
দুজনের হাত ধরে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর রেলবস্তি গ্রামে বিদ্যুতের আলো পৌছল। বুধবার আমাদের কাছে এক ঐতিহাসিক দিন বলে অভিমত ব্যক্ত করেন স্থানীয় প্রদীপ লুধ। তিনি সহ স্থানীয় শেখররঞ্জন পাল, জয়দীপ বর্মণ, আলিনজয় বর্মণ, অসিত সাওতাল প্রমুখ বিধায়ককে ধন্যবাদ জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি লক্ষীপুর মন্ডলের সভাপতি সঞ্জয় কুমার ঠাকুর, সাধারণ সম্পাদক গুঞ্জন কর, জেলা পরিষদ সদস্য সুদীপ কুমার, বিজেপি কর্মী সকিল আহমদ, শান্তনু চৌধুরী প্রমুখ।
বুধবার বৈদ্যুতিক আলো পেয়ে উৎসব পালন করেন সেই গ্রামের মানুষ। উৎসবের আনন্দে বিশাল মিছিল করে বিধায়ক কৌশিক রাই, এপিডিসিএল চেয়ারম্যান নিত্যভূষণ দে-কে রেলবস্তিতে নিয়ে যান গ্রামের জনগণ। আনন্দের জনজোয়ারে ভেসে রেলবস্তির বৈদ্যুতিক আলো জ্বালানোর আনুষ্ঠানিক উন্মোচন করেন বিধায়ক কৌশিক রাই। এবার বিধায়ক কৌশিক রাই প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, কালিপুজোর পূর্বে এই গ্রামের সড়ক নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করে দেবেন। প্রতিশ্রুতি পালন করে রেলবস্তির মানুষের ভালোবাসা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন বিধায়ক।