অনলাইন ডেস্ক : তপোবননগর কান্ডে অভিযুক্ত সুজিত দাস চৌধুরী ও তার সঙ্গীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশকে রবিবার পর্যন্ত সময়সীমা বেধে দিল শিলচর শহর শান্তি শৃঙ্খলা সুরক্ষা সমিতি। সমিতির পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, রবিবারের মধ্যে সুজিত ও তার সাগরেদদের গ্রেফতার করা না হলে শহর জুড়ে গড়ে তোলা হবে তীব্র আন্দোলন।
শনিবার সমিতির কর্মকর্তারা এক সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে বলেন, জেলাশাসক, পুলিশ সুপার থেকে ধরে সবার কাছে গিয়ে তারা দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হল গত ২৫ মে ব্যবসায়ী সুকান্ত কর ওরফে বাপীকে বেধড়ক মারপিটের পর পার হয়ে গেছে এক পক্ষকাল সময়। কিন্তু আজ পর্যন্ত পুলিশ মূল অভিযুক্ত সুজিত ও তার অন্য তিন সঙ্গীকে নাকি খুঁজে পায়নি। অথচ সুজিতরা এর মধ্যেই জামিনের জন্য দুবার আবেদন জানিয়েছেন আদালতে। জামিনের আবেদন জানাতে গেলে অন্তত স্বাক্ষর করতে হয় অভিযুক্তকে। অর্থাৎ সুজিতরা রয়েছেন ধারে কাছেই, এরপরও পুলিশ কেন তাদের খুঁজে বের করতে পারছে না, ব্যাপারটা খুবই আশ্চর্যের। সব মিলিয়ে শহরের জনমানসে ক্রমেই বাড়ছে ক্ষোভ।
শান্তি সমিতির কর্মকর্তা সীমান্ত ভট্টাচার্য, অরিন্দম হোড় ও সুজিত কুমার দাস সহ অন্যান্যরা বলেন, বারবার পুলিশ এবং প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে দাবি জানানোর পরও সুজিতদের ধরা হচ্ছে না। কিন্তু এরপরও তারা সংযত রয়েছেন, কিন্তু প্রশাসন যেন তাদের ধৈর্যকে দুর্বলতা বলে ভেবে না নেয়। এবার তারা সুজিত ও তার যে তিন সঙ্গী এখনও ধরা পড়েনি, তাদের গ্রেফতারের জন্য সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘন্টার সময়সীমা বেধে দিচ্ছেন। এরমধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করা না হলে গোটা শহর জুড়ে শুরু হবে তীব্র আন্দোলন। এসব তারা মেনে নিতে রাজি নন কোনও অবস্থায়ই।
শান্তি সমিতির অন্য কর্মকর্তা সঞ্জীব দাস বলেন, দোকানের বারান্দা থেকে টেনে হিঁচড়ে রাস্তায় নিয়ে মারধর করা হয়েছে সুকান্ত করকে। এবার এই দুষ্কৃতীরা পার পেয়ে গেলে ভবিষ্যতে তারা আরও ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটাবে। তবে এর জন্য দায়ী হবে প্রশাসন। তিনি বলেন, পুলিশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠদের উপর চাপ সৃষ্টি করে অভিযুক্তদের টেনে নিয়ে আসে নাগালের মধ্যে। কিন্তু সুজিতের বেলায় এসব কিছুই দেখা যাচ্ছে না। এর পেছনে কি কোনও রহস্য লুকিয়ে রয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সুদীপ্তা পাল, অনিমেষ দে, পরিমল পুরকায়স্থ প্রমুখ।