অনলাইন ডেস্ক : সুজিত দাস চৌধুরী এক আতঙ্কের নাম। তাকে ঘিরে আতঙ্কে রয়েছেন গোটা শিলচরবাসী। সুজিতকে শীঘ্র গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা না করা হলে এই শহরে শান্তিপ্রিয় নিরীহ লোকেদের টিকে থাকাই মুশকিল হয়ে দাঁড়াবে। বুধবার সুপার সুপার নূমল মাহাতোর কাছে এভাবে আর্জি জানালেন শিলচর শহর শান্তি শৃঙ্খলা সুরক্ষা সমিতির কর্মকর্তারা।
তপবননগর সংলগ্ন রামগড়ে ব্যবসায়ী সুকান্ত কর ওরফে বাপীকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত সুজিত ও তার সঙ্গীদের গ্রেফতারের দাবিতে গত শনিবার সমিতির পক্ষ থেকে রবিবার পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সুজিত এপর্যন্ত ধরা না পড়ায় বুধবার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে সমিতির সদস্যরা অবস্থান ধর্মঘটে বসেন। “ভূ-মাফিয়া নিপাত যাক”,”জমি দখল কারী সুজিত গ্যাং-এর শাস্তি চাই”,”পুলিশ তুমি নিরব কেন”-ইত্যাদি স্লোগান সম্বলিত পোস্টার নিয়ে অবস্থান ধর্মঘটে “এনকাউন্টার”-এরও সওয়াল করা হয়।
আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, এতো এতো এনকাউন্টারের কথা শোনা যায়। সুজিত বাহিনী শহর জুড়ে যেভাবে আতঙ্কের সৃষ্টি করে রেখেছে, এক্ষেত্রে কি তা করা যায় না। সঙ্গে এও বলা হয় এবার ৭ দিনের মধ্যে সুজিত ও তার পলাতক সঙ্গীদের গ্রেফতার করা না হলে তারা শিলচর বনধ ডাকার মতো সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবেন। তারা বলেন আন্দোলন এখানেই শেষ হয়ে যাবে না। সুজিতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ সহ তার মাফিয়ারাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত চলবে আন্দোলন। ক্রমেই আন্দোলনকে আরও বৃহত্তর রূপ দেওয়া হবে।
অবস্থান ধর্মঘট চলাকালীন এক প্রতিনিধি দল কার্যালয়ের ভেতরে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন পুলিশ সুপারের সঙ্গে। পুলিশ সুপারকে তারা পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে সুজিত ও তার সঙ্গীদের শীঘ্র গ্রেফতারের দাবী জানান। পুলিশ সুপার সবকিছু শুনে বলেন, সুজিতের তিন সঙ্গী ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছে, সুজিত সহ বাকিদের গ্রেফতারের জন্যও সচেষ্ট রয়েছে পুলিশ। সুজিতদের সন্ধান বের করতে বিভিন্ন সোর্সকে কাজে লাগানো হয়েছে। আশা করা যায় শীঘ্রই তাদের সন্ধান বের করে গ্রেফতার করা সম্ভব হবে। প্রতিনিধিরা পুলিশ সুপারকে এও বলেন, এই যে তারা প্রতিবাদী আন্দোলনে সামিল হয়েছেন, এনিয়েও তারা আতঙ্কে রয়েছেন। এবার হয়তো বেছে বেছে তাদের হুমকি দেওয়া হবে। যদিও পুলিশ সুপার আশ্বস্ত করেন, এ ধরনের কিছু হলে কড়া হাতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিনের অবস্থান ধর্মঘটে দলমত নির্বিশেষে ছিলেন বহু লোক। বিশিষ্টদের মধ্যে ছিলেন শান্তি কমিটির কর্মকর্তা সংগীতশিল্পী সুজিত দাস ( ইনিও সুজিত), অমিতেশ চক্রবর্তী, নিরুপম গুপ্ত, অভিজিৎ ধর, সান্তনু রায়, জয়দীপ চক্রবর্তী, সীমান্ত ভট্টাচার্য, বুদ্ধদেব দাস, টিংকু রায়, সব্যসাচী রুদ্রগুপ্ত, সঞ্জীব দাস,পরিমল পুরকায়স্থ, ভাস্কর দাস, নিখিল পাল, সর্বানি ভট্টাচার্য, দিলীপ সিনহা ও সুস্মিতা হোম চৌধুরী প্রমুখ।