অনলাইন ডেস্ক : ৭৪-র সিনিয়র আন্ত:জেলা ফুটবলে খেতাব জয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষে কলঙ্কিত হল শিলচরের ফুটবল। গত ৩১ মে গভর্নিং বডির একঝাঁক সদস্যের সামনে সংস্থার অন্যদুই শাখা সচিবের দ্বারা লাঞ্চিত হয়েছিলেন ফুটবল সচিব বিকাশ দাস। পরে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সভাপতির কাছে সুবিচার চেয়ে এক চিঠি দিয়েছিলেন ফুটবল সচিব। এরপর কয়েকদিনের বিরতির পর শুক্রবার এনিয়ে গভর্নিং বডির ও জরুরি সভা আহবান করেছে জেলা ক্রীড়া সংস্থা। আজই জিবি সদস্যদের কাছে পৌঁছে গেছে এর নোটিশ।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ছয় জুন স্টেডিয়াম সচিব আশিস চক্রবর্তী ও গ্রাউন্ড সচিব কৌশিক রায়কে শোকজ করেছিল ডিএসএ। শোকজের জবাব দেওয়ার জন্য তিন দিনের সময় দেওয়া হয়েছিল তাদের। দুজনেই অবশ্য সময়সীমা পেরনোর আগেই জবাব পাঠিয়ে দেন সংস্থায়। জবাবের বয়ানে দুজনেই সংস্থার মান-মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। সঙ্গে এও উল্লেখ করেছেন, সেদিনের জিবি বৈঠকে সহ সচিবের ( প্রসাশন) মর্যাদায় আঘাত করার জন্যই প্রতিবাদ করেছিলেন তারা।
গত ৩১মে ডিএসএ-র দ্বিতীয় জিবি সভায় ঠিক কি ঘটেছিল? জানা যায়, বন্যার জেরে অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে জিবি সভা আহবান করেছিল শিলচর ডিএসএ। এই অবস্থায় সভা কিছু দিন পিছিয়ে দেওয়ার দাবি রেখে চিঠি পাঠিয়েছিল সংস্থার অনুমোদিত কয়েকটি ক্লাব। কিন্তু চিঠি গুলি গ্রহণ করেননি সচিব অতনু ভট্টাচার্য। পরে অবশ্য সহ সচিব (প্রশাসন) চিঠি গুলি সমঝে নিয়ে ছিলেন। ৩২ এজেন্ডার জিবি বৈঠকের শুরুতে কয়েকজন সদস্য সচিবের কাছে চিঠি গ্রহণ না করার কারন জানতে চাইছিলেন, তখনই ফুটবল সচিবের বক্তব্য ছিল, চিঠি যেহেতু সচিব অতনু ভট্টাচার্যের নেওয়ার কথা ছিল, তাহলে সহ সচিব চিঠি গুলি কিভাবে নিতে পারেন। ব্যস, হট্টগোল শুরু হয়েযায় সেখান থেকেই। দুই শাখা সচিব আশিস চক্রবর্তী ও কৌশিক রায় চড়াও হন বিকাশ দাসের উপর। মুহূর্তে রণক্ষেত্রের রূপ নেয় জিবি সভা। জিবি বৈঠক ভেস্তে যায় সেখানেই। এখন দেখা যাক শুক্রবারের জরুরি জিবি বৈঠক ঠিক ভাবে শেষ হয় কিনা। এই বৈঠকে অনেকটাই নির্ভর করবে শিলচরের ফুটবল ভবিষ্যৎ।