শ্বশুর বাড়িতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হলো সজল সিনহা (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে। ঘটনা কালাইন থানা এলাকার বিলবুরুঙ্গার। সজল তার শ্বশুরবাড়িতে ঘর জামাই হিসেবে থাকতেন। এই ঘটনায় পুলিশ আটক করেছে সজলের পত্নী সুবর্ণা সিনহা(৩৮)কে।
সজল মূলত ছিলেন করিমগঞ্জ জেলার পাথারকান্দি এলাকার বাসিন্দা। প্রায় ১৫ বছর আগে তার সঙ্গে বিয়ে হয় সুবর্ণার। বিয়ের পর থেকেই সজল শ্বশুরবাড়িতে ঘর জামাই হিসেবে থাকতে শুরু করেন। সজলের উপর হামলা চালানো হয় শুক্রবার দুপুর ১২টা নাগাদ। শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের কোপে তিনি শ্বশুরবাড়ির সীমানার একপাশে পড়েছিলেন রক্তাক্ত অবস্থায়। খবর পেয়ে বিহাড়া ফাঁড়ি পুলিশ পুলিশ সেখানে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পাঠায় সোনাপুর হাসপাতালে। তবে হাসপাতালে পৌঁছার পরই তার মৃত্যু ঘটে।
পুলিশ ঘটনার পর সজলের পত্নী সুবর্ণাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। পুলিশের এক সূত্র জানান প্রাথমিকভাবে যে তথ্য পাওয়া গেছে, সে অনুযায়ী সজল এবং সুবর্ণার মধ্যে কিছুদিন ধরে সম্পর্ক খুব ভালো ছিল না। প্রায়ই দুজনের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হতো। এদিনও দুজনের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পুলিশের সূত্রটি জানান, ঘটনার পারিপার্শ্বিকতা এবং প্রতিবেশীদের বক্তব্যের সূত্র ধরে সজলের পত্নী সুবর্ণাকে সন্দেহ করা হচ্ছে। তাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে তাকে।
জানা গেছে সজল এবং সুবর্ণার দুই সন্তান রয়েছে। বাড়িতে থাকেন সুবর্ণার বৃদ্ধ বাবা-মাও।
ঘটনাকে ঘিরে এলাকা জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র চাঞ্চল্যের। এলাকাবাসী অনেকেই সুবর্ণাকে ঘিরে আকারে ইঙ্গিতে অনেক কথা বললেও প্রকাশ্যে এসে কিছু বলতে রাজি নন। এদিকে সুবর্ণাকে পুলিশ সরাসরি সন্দেহ করলেও ঘটনায় অন্য কারো সংযোগের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না।