অনলাইন ডেস্ক : যুবাদের নেশা ও জুয়ায় আসক্ত হতে দেখে এবার প্রতিরোধের ডাক দেওয়া হল শিলচর আশ্রম রোড- তপোবননগর এলাকায়। আশ্রম রোড কীর্তন কমিটির ব্যানারে রবিবার
নাগরিকসভা ডেকে কড়া পদক্ষেপ নেবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, এবার কেউ এলাকায় নেশা সামগ্রী বিক্রি করলে বা জুয়ার আসর বসালে তাকে জরিমানা দিতে হবে ৫০ হাজার টাকা। সঙ্গে আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, কাউকে প্রকাশ্যে নেশা করতে বা জুয়ায় মেতে উঠতে দেখা গেলে তাকে জরিমানা দিতে হবে ,৫ হাজার টাকা।
এদিন তপবন নগরের কীর্তনের মাঠে আয়োজিত এই নাগরিক সভায় উপস্থিত ছিলেন এলাকার বাসিন্দা ধলাইর বিধায়ক নীহার রঞ্জন দাস, কংগ্রেস কর্মকর্তা সূর্যকান্ত সরকার সহ সামাজিক ক্ষেত্রে অগ্রগণ্য আরও বহু লোক। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিধায়ক নীহার বাবু বলেন, নেশা ও জুয়া যেভাবে সমাজের যুবাদের
গ্রাস করছে তা খুবই উদ্বেগের ব্যাপার। যখন সন্তানরা এসবে আসক্ত হয় তখন অভিভাবকদের দুশ্চিন্তার শেষ থাকে না। তিনি বলেন অনেকে, নিজের সন্তান এসব থেকে দূরে থাকলে আশপাশের পরিস্থিতি দেখেও চুপ করে বসে থাকেন। তবে এমনটা হওয়া মোটেই কাম্য নয়। কারণ পাশের বাড়ির ছেলেটা যদি নেশাশক্ত হয় তবে এর প্রভাব পড়তে পারে নিজের সন্তানের উপরও। তাই এসবের প্রতিরোধে এগিয়ে আসতে হবে সবাইকেই।
তিনি আরও বলেন, এলাকায় একটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত মদের দোকান নিয়েও বহু অভিযোগ রয়েছে। তবে এমনিতে ওই দোকান অন্যত্র স্থানান্তর বা বন্ধ করা যাবে না। ওই দোকান নিয়ে সামাজিকভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে। বিশেষত মহিলাদের এগিয়ে আসতে হবে এক্ষেত্রে। যাতে করে মহিলারা বুঝিয়ে শুনিয়ে কাউকে ওই দোকান অভিমুখে মদ ক্রয় করতে যেতে না দেন। এ প্রসঙ্গে তিনি শিলকুড়িতে মদের দোকানের বিরুদ্ধে মহিলাদের আন্দোলন এবং বিভিন্ন স্থানে মৈরা পাইবির প্রতিরোধের কথা তুলে ধরেন।
সূর্যকান্ত সরকার বলেন,কীর্তন কমিটি যেভাবে নেশা ও জুয়ার বিরুদ্ধে এগিয়ে এসেছে তা খুবই সময়োপযোগী। তবে লাইসেন্স প্রাপ্ত দোকান বা অবৈধ ঠেক যেখানেই নেশা সামগ্রী বিক্রি হোক না কেন এসব বন্ধ করতে গিয়ে তাদের বুঝিয়ে শুনিয়ে কাজ করতে হবে। লাইসেন্স প্রাপ্ত মদের দোকান বন্ধের ক্ষেত্রে তিনি গান্ধীবাদী পন্থায় আন্দোলন গড়ে তোলার উপর জোর দেন।
কীর্তন কমিটির প্রাক্তন সভাপতি উপেন্দ্র দাস বলেন, অবৈধ নেশা ও জুয়ার ঠেক বন্ধ করতে সবাই মিলে এগিয়ে আসতে হবে। আর লাইসেন্স প্রাপ্ত মদের দোকান বন্ধ করা নিয়ে প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হওয়ার কথাও বলেন তিনি। প্রাক্তন জেলা পরিষদ সদস্য কুলেন্দ্র দাস এলাকায় বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপ নিয়ে ন্যাশনাল হাইওয়ে পুলিশ পেট্রোল পোষ্টের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেন। সঙ্গে লাইসেন্স প্রাপ্ত মদের দোকান বন্ধ করা নিয়ে প্রয়োজনে পথ অবরোধ গড়ে তোলার ডাক দেন তিনি।
অঞ্জন চৌধুরীর পৌরহিত্যে সভায় বক্তব্য রাখেন শিক্ষক শৈলেন দাস ও গিরীন্দ্র দাস। উপস্থিত ছিলেন নিশিকান্ত সরকার, যতীন্দ্র দাস, শচীন্দ্র দাস, গুনমনি দাস ও সন্তোষ দাস প্রমূখ।