অনলাইন ডেস্ক : সাজার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর প্রায় দু বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। তবে এরপরও দেশে ফেরা হচ্ছে না নেপালের বাসিন্দা জান্নত খাতুনের। তাকে বন্দিদশা ভোগ করতে হচ্ছে শিলচর সেন্ট্রাল জেলের ট্রানজিট ক্যাম্পে। জন্নত খাতুনকে যাতে তার স্বদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়, এর জন্য এবার উদ্যোগী হয়েছে সিটিজেন্স রাইটস প্রোটেকশন কমিটি (সিআরপিসি), অসম। কমিটির পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদক সাধন পুরকায়স্থ এনিয়ে চিঠি লিখেছেন কলকাতায় থাকা নেপালের দূতাবাসের কনসোল জেনারেলকে ৷
জানা গেছে,নেপালের সালাহি জেলার লক্ষ্মীমোরের বাসিন্দা জন্নাত খাতুনকে ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের দরুন ২০১৮ সালে গ্রেফতার করা হয়েছিল কাটিগড়ায় ৷ আইনি প্রক্রিয়ার পর ২০১৮ র ২৮ নভেম্বরে তাকে পাঠানো হয় শিলচর সেন্ট্রাল জেলে ৷ এসবের মাঝে আদালতে তার দু বছরের সাজা ঘোষণা করা হয় ৷সাজার মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০২০ সালের ২৭ ডিসেম্বর ৷ এরপর থেকে তাকে রাখা হয়েছে সেন্ট্রাল জেলেই ট্রানজিট ক্যাম্পে (পূর্বতন ডিটেনশন ক্যাম্প ) |
জানা গেছে , জন্নত খাতুনের সাজার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া নিয়ে ইতিমধ্যে সেন্ট্রাল জেলের সুপারিনটেনডেন্টও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন ৷ যদিও এ পর্যন্ত তাকে দেশে ফেরত পাঠানো নিয়ে কোনও নড়াচড়া টের পাওয়া যাচ্ছে না ৷ সাধন বাবু এনিয়ে ক্ষোভ ব্যক্ত করে বলেন,তিনি মানবিকতার স্বার্থে নেপালি দূতাবাসের কাছে চিঠি লিখেছেন ৷ তবে ঘটনা এটাও যে,অসম সরকার নেপালি জনগোষ্ঠীর লোকেদের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে থাকা সব মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিলেও নেপালেরই বাসিন্দা জন্নাত খাতুনকে এভাবে সাজার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও এতদিন ধরে আটকে রাখা হয়েছে ট্রানজিট ক্যাম্পে ৷