অনলাইন ডেস্ক : শিলচরের বেহাল রাস্তার হাল ফেরাতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে রাস্তা নির্মাণের কাজ। এ জন্য তিনটি প্রকল্পে বরাদ্দ হয়েছে ৩২ কোটি টাকা। বুধবার জেলা বিজেপির সদর কার্যালয়ে বসে এমনটাই জানিয়েছেন শিলচরের বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী। শিলচরে রাস্তা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চলছে। এদের আশ্বস্ত করে বিধায়ক শুনিয়েছেন, মোট তিনটি অংশে বানানো হবে রাস্তা। রামনগর থেকে সদরঘাট, ক্যাপিটাল পয়েন্ট থেকে রাঙ্গিরখাড়ি এবং রাঙ্গিরখাড়ি সোনাইরোড পয়েন্ট থেকে সোনাবাড়িঘাট। দিসপুরে এনএইচআইডিসিএল এর রাজ্যস্তরের শীর্ষকর্তার সঙ্গে তিনি আলোচনা করেছেন। গত ২ আগস্ট গুয়াহাটিতে এই তিনটি রাস্তার দরপত্র আহ্বান করেছে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রক। দরপত্র জমা হবে আগামী ১২ আগস্ট পর্যন্ত। ঠিকাদার চূড়ান্ত হওয়ার পর অ্যামডিনিস্ট্রেটিভ অ্যাপ্রোভ্যাল এবং ওয়ার্ক অর্ডার বের করে ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে নির্মাণ কাজ। এরমধ্যে রাঙ্গিরখাড়ি সোনাই রোড পয়েন্ট থেকে সোনাবাড়িঘাট পর্যন্ত বরাদ্দ হয়েছে ২৩ কোটি টাকা। রামনগর থেকে সদরঘাট ৬ কোটি এবং ক্যাপিটাল পয়েন্ট থেকে রাঙ্গিরখাড়ি নেতাজি মূর্তি পর্যন্ত নতুন রাস্তা নির্মাণে বরাদ্দ হয়েছে ৩ কোটি টাকা। বিধায়ক বলেন, প্রক্রিয়া এপর্যন্ত এগানোয় এ বার নতুন নির্মাণ কাজ যে হবে তা নিশ্চিত হয়ে গেছে। এদিকে, শিলচরের বানানো রাস্তা খুড়ে পাইপলাইন বসাচ্ছে পূর্বভারতী গ্যাস এজেন্সি।খোঁড়ার পর আর আগের মত রাস্তা বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে পূর্ব ভারতী গ্যাস এজেন্সির এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর মনোজ বরার সঙ্গে তিনি দেখা করেছেন গুয়াহাটিতে। বলেছেন, শিলচরে ইদানিং একের পর এক নির্মাণ কাজ হচ্ছে। এখন পূর্ব ভারতী-ই হোক বা অম্রুত প্রকল্প, পাইপলাইন বসাতে প্রত্যেককে পূর্ত বিভাগ, পিএইচই, পুরসভা, এনএইচআইডিসিএল সমেত সব কর্তৃপক্ষকে নিয়ে একসঙ্গে বসে সমন্বয়ের ভিত্তিতে একে অন্যের সুবিধা অসুবিধা দেখে খোঁড়াখুঁড়ি করতে হবে। নতুবা শহরে কাজ করতে দেওয়া হবে না। মনোজ বরা সমস্যা শুনে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। বলেছেন, প্রতিটি জায়গায় অনুমতি নিয়ে তবেই জায়গা খোঁড়া হয় এবং খোঁড়ার পর ফের আগের মত রাস্তা বানিয়ে দেওয়া হয় তা নিশ্চিত করা হবে।