অনলাইন ডেস্ক : মৃত্যু ঘটলো শিলচর সেকেন্ড রোড ১৪ নম্বর গলির বাসিন্দা রনতোষ দাস (৪৩) নামে এক যুবকের। রনতোষ ছিলেন পেশায় রাজমিস্ত্রি। তার মৃত্যুকে ঘিরে দানা বেঁধে উঠেছে রহস্য।
জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ রনতোষকে অচেতন অবস্থায় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। বুধবার মেডিকেলে তার মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। ময়নাতদন্তের পর মৃতদেহ সমঝে দেওয়া হয় পরিবারের লোকেদের হাতে ।
প্রতিবেশীদের সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে রনতোষ তার পত্নীর সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। এরপর একসময় পত্নীর হাত-পা ও মুখ কাপড় দিয়ে বেঁধে ফেলেন। এরপর তার সামনেই ঘরের ভেতর রাবারের পাইপ দিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মঘাতী হবার চেষ্টা চালান। তবে পত্নীর হাত পা ও মুখ বাঁধা থাকায় তিনি কিছু করতে পারেননি। এই অবস্থায় রাবারের পাইপ দিয়ে ফাঁসিতে ঝোলার পর রণতোষের দেহ পিচ্ছিল পাইপ ঘষে ঘষে নিচে নেমে আসে। পাইপ ঘষে ঘষে রণতোষের দেহ নিচে নেমে এলেও ততক্ষণে তিনি অচেতন হয়ে যান। এদিকে এসবের মাঝে পত্নী কোনওক্রমে মুখের বাঁধন খুলে চিৎকার করলে আশপাশের লোকেরা এগিয়ে যান। তারা পত্নীর হাত- পায়ের বাঁধন খোলা সহ রণতোষকে উদ্ধার করে নিয়ে যান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তবে মেডিকেলে পৌঁছার পর চিকিৎসকরা রনতোষকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশের এক সূত্র জানান, রণতোষের মৃত্যুর কারণ নিয়ে নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে।