অনলাইন ডেস্ক : নাবালিকার সন্তান প্রসবের অভিযোগকে ঘিরে গত কয়েকদিন ধরে শিলচর কালীবাড়িচর এলাকায় বিরাজ করছে উত্তেজনা। এবার এনিয়ে থানায় দায়ের করা হলো এজাহার। এজাহারে যার বিরুদ্ধে ওই নাবালিকার সঙ্গে যৌনাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে, সেই লোকটি ওই নাবালিকার জন্মদাতা বাবা। এসবের মাঝে আবার নাবালিকার গর্ভজাত সন্তানকে বিক্রিরও অভিযোগ উঠেছে।
এজাহার দায়ের করেছেন কালিবাড়ি চর এলাকারই বাসিন্দা নাবালিকাকে পালনকারী মা। এতে তিনি অভিযুক্ত করেছেন ওই এলাকারই দাস পদবীর এক ব্যক্তিকে। এজাহারে মহিলা উল্লেখ করেছেন, তার পালিতা কন্যার বয়স প্রায় ১৬। দীর্ঘ বছর আগে তার মায়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে দাস পদবীর ওই ব্যক্তির। এতে জন্ম হয় মেয়ের, তখন দাস পদবীর ব্যক্তিটি মেয়েকে সমঝে দেন তার কাছে। এরপর তিনি লালন পালন করে তাকে বড় করে তুলেন। কিন্তু বছর খানেক আগে দাস পদবীর ব্যক্তিটি মেয়েকে ফের নিজের কাছে নিয়ে যেতে চান। এই অবস্থায় তিনি মেয়েকে যেতে দেন তার কাছে। জন্মদাতা বাবা মেয়েকে নিজের কাছে নিয়ে যাবেন, এতে অন্য কোনও ভাবনাই তার মনে আসেনি। কিন্তু নিজের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর দাস পদবীর ওই ব্যক্তি সব সম্পর্কের কথা ভুলে নিজের ঔরসজাত কন্যার সঙ্গেই শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এতে মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে এবং দিন কয়েক আগে এক সন্তানের জন্ম দেয়। এরপর দাস পদবীর লোকটি ওই সন্তানকে কোথাও লুকিয়ে রাখে।
দীর্ঘদিন ধরে লালন-পালনের মাধ্যমে বড় করে তোলা মেয়ের সঙ্গে তার জন্মদাতা বাবা এমনসব কাণ্ডকারখানা চালিয়ে গেলেও প্রথমত তিনি কিছুই জানতে পারেননি। পরবর্তীতে লোক মারফৎ জানতে পেরে তিনি দাস পদবীর লোকটির কাছে গিয়ে এনিয়ে প্রতিবাদ জানান।এতে লোকটি উল্টে ক্ষেপে গিয়ে উল্টে তাকে চুপ থাকার জন্য শাসিয়ে হুমকি দেয় যে ,এনিয়ে মুখ খুললে তাকে হত্যা করবে । এই অবস্থায় বাধ্য হয়ে তিনি ব্যাপারটা স্থানীয় সুজিত দাস নামে এক মাতব্বরকে জানান। এরপর সুজিত তার পালিত কন্যাকে পুলিশের কাছে সমঝে দেন।
জানা গেছে মহিলা এই এজাহার দায়ের করার পর বর্তমানে খোঁজ খবর শুরু হয়েছে। খবর অনুযায়ী শিলচরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ওই নাবালিকার প্রসব করানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই হাসপাতালে এদিন খোঁজখবর চালিয়ে নাবালিকার জন্ম দেওয়া সন্তানের সম্পর্কে তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে।
এদিকে ঘটনাকে ঘিরে কালীবাড়ি চর এলাকায় বর্তমানে বিরাজ করছে তীব্র উত্তেজনা। এলাকাবাসী নাবালিকার বাবাকে এক নরপশু বলে অভিহিত করে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। সঙ্গে তারা নাবালিকার জন্ম দেওয়া শিশু সন্তানকে খুঁজে বের করার জন্যও সরব হয়ে উঠেছেন। কেউ কেউ সন্দেহ ব্যক্ত করেছেন ওই শিশু সন্তানকে হয়তো বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।