অনলাইন ডেস্ক : তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে চাপে ফেলার চেষ্টায় রয়েছে বিজেপি। এবার তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, লোকসভায় অসংসদীয় শব্দ প্রয়োগের। এই বিতর্কে মুখ খুলে মহুয়া জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি আপেলকে আপেলই বলবেন, কমলালেবু নয়। অভিযোগ, মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির ভাষণে ধন্যবাদ জ্ঞাপন প্রস্তাবের উপর লোকসভায় টিডিপি সাংসদ রামমোহন নাইডু বক্তব্য রাখার সময়ই ওই ভাষা প্রয়োগ করেন মহুয়া। আর তারপরই গড়ায় বিতর্ক। সংসদ বিষক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী তাঁকে ক্ষমা চাইতে বললেও মহুয়া জানিয়েছেন, তিনি ক্ষমা চাইবেন না। গত কয়েক দিন ধরেই সংসদ আদানি ইস্যুতে তোলপাড়। এই অবস্থায় মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির ভাষণে ধন্যবাদ জ্ঞাপন প্রস্তাবের উপর বক্তব্য রাখেন মহুয়া। তিনি তাঁর ভাষণে বিজেপিকে আক্রমণ করেন। সরাসরি পেগাসাস থেকে সাম্প্রতিক মোদিকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্রের প্রসঙ্গ উঠে আসে তাঁর কথায়। সেই সময় তাঁর কথার প্রতিবাদ করতে থাকেন বিজেপি সাংসদরা। অভিযোগ, পরে রামমোহন নাইডু বক্তব্য রাখার সময় আচমকাই উঠে দাঁড়িয়ে অসংসদীয় মন্তব্য করেন মহুয়া। বিজেপি সাংসদ রমেশ ভিদুরিকে লক্ষ্য করেই তিনি ওই মন্তব্য করেন বলে দাবি করা হচ্ছে। সেই মুহূর্তের ভিডিও শেয়ার করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এই বিতর্কে মুখ খুলে মহুয়াকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”আমি যা বলেছি তা রেকর্ডে নেই। আমি এইটুকুই বলতে পারে, আমি আপেলকে আপেলই বলব। কমলালেবু নয়। আমাকে যদি বিশেষাধিকার কমিটির কাছে নিয়ে যাওয়া হয় আমি আমার বক্তব্যের সপক্ষে যা বলার বলব।” এদিকে বিজেপি সাংসদ হেমা মালিনী মহুয়ার বক্তব্য প্রসঙ্গে বলেছেন, ”নিজেদের জিভকে লাগাম পরাতে হবে ওঁদের। অতিরিক্ত উত্তেজিত ও আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লে চলবে না।” এদিকে আদানি ইস্যুতে বুধবার সকালে এসবিআইয়ের সদর দপ্তরের সামনে পোস্টার হাতে মুখে কালো কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ করেন তৃণমূল সাংসদরা। দলের টুইটারে সেই বিক্ষোভের ছবিও শেয়ার করা হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, এসবিআইকে দখল করার চেষ্টা করছে বিজেপি। এর প্রতিবাদেই এদিনের ধরনা। মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির ভাষণে ধন্যবাদ জ্ঞাপন প্রস্তাবের উপর লোকসভায় বক্তব্য চলাকালীন এই অসংসদীয় শব্দের প্রয়োগ করেন তৃণমূল সাংসদ। ভিডিওতে দেখা গেছে, টিডিপি সাংসদ যখন বক্তব্য রাখতে ওঠেন, তখন নিজের আসনে বসেই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে বিজেপি’র বেঞ্চের দিকে তাকিয়ে কিছু বলছেন মহুয়া মৈত্র। তৃণমূল সাংসদের মুখে শোনা যায় ওই অসংসদীয় শব্দটি। হইচই শুরু হয়ে যায় লোকসভায়। এদিকে মহুয়ার মাইক তখনও বন্ধ হয়নি। এর ফলে তাঁর সেই কথা সম্প্রচারিত হয়ে যায়। পরে অবশ্য স্পিকারের আসনে থাকা ভারত্রুহারি মেহতাব জানান, অসংসদীয় শব্দ প্রয়োগ করেছেন মহুয়া, তা রেকর্ড থেকে বাদ দেওয়া হবে।