অনলাইন ডেস্ক : প্রেমে ব্যর্থ হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিল সতেরো বছরের এক প্রেমিকা। এমনকি, রুমালে প্রেমিকের মোবাইল নম্বর লিখে গলায় ফাঁস লাগিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সে। সুপ্রিয়া দাস(১৭)। তবে জামিরা পুলিশ ফাঁড়ির আওতাধীন ঘাড়মুড়া বাজার সংলগ্ন প্রয়াত হরেশ দাসের মেয়ে সুপ্রিয়া শনিবার সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে গায়ের ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মাহত্যা করেছে বলে জানা গেলেও পারিবারিক সূত্রে ভিন্ন তথ্য উঠে আসছে। এটি আত্মহত্যার ঘটনা নয় বলে পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাইলাকান্দি এসকে রায় সিভিল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।
এদিকে, সুপ্রিয়ার মা সীতা দাস রবিবার সকালে জামিরা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ যাদব ডেকার কাছে তার বয়ান লিপিবদ্ধ করান। এদিন সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সুপ্রিয়া জানান, তার মেয়ে আত্মহত্যা করেনি। একই গ্রামের ময়না হাজামের ছেলে সিদ্ধার্থ হাজাম তার মেয়েকে ঘরে ঢুকে হত্যা করেছে বলে তার অভিযোগ। সুপ্রিয়ার সঙ্গে ওই যুবকের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ইদানিং তাদের সম্পর্কে বেশ জটিলতা দেখা দেয়। এনিয়ে সিদ্ধার্থ তার মেয়েকে বার বার হুমিকি দিয়ে আসছিল বলে জানান সীতা দাস। ঘাড়মুড়া বাজারে তার নিজস্ব একটি হোটেল চালান সীতা। স্বামী মারা যাওয়ার পর তিনি হোটেল খোলে সংসার চালাচ্ছেন। ঘটনার দিন অর্থাৎ শনিবার সন্ধায় তিনি ছিলেন হোটেলে। তার এক মেয়ে পুষ্পিতা প্রাইভেটটিউটরের কাছে পড়তে যায় । আর অন্য মেয়ে নমিতা দাস ছিল কালীবাড়িতে কীর্তনে। এ অবস্থায় বাড়িতে একা ছিল সুপ্রিয়া। আর এই সুযোগে সিদ্ধার্থ তার আক্রোশ মেটাতে মেয়েকে ধর্ষণ করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করে ফেলে যায় বলে জানান মা সীতা দাস।