অনলাইন ডেস্ক : অসমের গ্রামাঞ্চলের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি জনগণকে পাইপযোগে বিশুদ্ধ পানীয়জল সরবরাহের কৃতিত্বের পর জলজীবন মিশনকে আগামী ৩০ বছর পর্যন্ত কার্যকর করে রাখতে সোমবার লখিমপুরের ত্যাগ ক্ষেত্রে আয়োজিত দ্বিতীয় বৃহত্তর পরিসরের জলজীবন সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন জনস্বাস্থ্য কারিগরী মন্ত্রী জয়ন্তমল্ল বরুয়া। জলজীবন মিশনের অংশীদার গ্রামের জনগণ, জল উপভোক্তা সমিতির সদস্য, জলমিত্র, জলদূত, গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য, আত্মসহায়ক গোষ্ঠী, বিদ্যালয় এবং অঙ্গনওয়াড়ি প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এই সম্মেলনে প্রকল্পগুলির সচেতনতা সৃষ্টি এবং বৃদ্ধির জন্য ভিডিও শো, পথ নাটক ইত্যাদির সহায়তা নেওয়া হয়।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত জনগণকে সম্বোধন করে লখিমপুর জেলার জলজীবন মিশনের সঙ্গে জড়িত সকল অংশীদারকে মন্ত্রী বরুয়া শুভেচ্ছা জানান।এরসঙ্গে জলজীবন মিশনের সফলতা এবং প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৭০ বছরের পর অসমে মাত্র ১ শতাংশ মানুষ বিশুদ্ধ পানীয়জল লাভ করতে সক্ষম হয়েছেন। কিন্তু ২০১৯ সালে কার্যকর করা জলজীবন মিশনের মাধ্যমে প্রতিটি ঘরে বিশুদ্ধ পানীয়জল সরবরাহ করার কাজ ক্ষিপ্রগতিতে এগিয়ে চলছে। এখন পর্যন্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে প্রায় ৫৩ শতাংশ অর্থাৎ ৩৫ লক্ষ মানুষের ধরে জল সরবরাহ করতে সক্ষম হয়েছে। তিনি একই সঙ্গে জানান, জলজীবন মিশনের মাধ্যমে লখিমপুর জেলার দুটি সংমন্ডলে প্রায় এক হাজার কোটির অধিক অর্থ ব্যয় করে ১ হাজার ৪৪৫টি প্রকল্প নতুন করে রূপায়ণ করার কাজ শুরু হয়েছে এবং সেক্ষেত্রে মাত্র একটি জেলার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দের জন্য মন্ত্রী বরুয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য, এদিনের এই সম্মেলন মঞ্চ থেকে মন্ত্রী জয়ন্তমল্ল বরুয়া জলজীবন মিশনের ১০৩টি নতুন প্রকল্পের ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন।