অনলাইন ডেস্ক : ভাইরাল হয়ে পড়েছিল দম্পতির অন্তরঙ্গ যৌনতার ভিডিও। এর জেরে সালিশি সভা ডেকে ওই দম্পতিকে মারধরের পর গৃহবধূকে গলায় জুতোর মালা পরিয়ে ঢাক ঢোল বাজিয়ে ঘুরানো হয় পুরা গ্রাম। না উত্তর প্রদেশ বা বিহারের কোনও গ্রাম নয়, এই ঘটনা ঘটেছে শিলচর চেংকুড়ি এলাকার কুকুবাড়ি গ্রামে। পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে নেমে গ্রেফতার করেছে গ্রামের বাসিন্দা দুই মহিলা সহ পাঁচজনকে।
গ্রেফতার করা হয়েছে দুই মহিলা শৈলবালা দাস(৫৫) ও সাধনা দাস(৩৫)সহ তিন যুবক কিষান দাস(২৬),রঞ্জিত দাস(২৬) ও কৃপেশ দাস( ২২)কে। জানা গেছে গ্রামের বাসিন্দা ওই মহিলা ও তার স্বামীর যৌনতার একটি ভিডিও দিন কয়েক আগে ভাইরাল হয়ে পড়ে। তা নজরে পড়ার পর গ্রামের মোড়লরা মঙ্গলবার এক সালিশি সভা আহ্বান করেন। সভায় দম্পতিকে ডেকে তাদের বেধড়ক মারপিট করা হয়। এরপর মহিলার গলায় জুতোর মালা পরিয়ে ঢাক-ঢোল বাজিয়ে মিছিল করে তাকে ঘোরানো হয় পুরো গ্রাম। এভাবে জুতোর মালা পরিয়ে মহিলাকে পুরো গ্রামে ঘোরানোর দৃশ্যও আবার রেকর্ডিং করে ভাইরাল করে দেওয়া হয়।
এ নিয়ে মহিলার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এজাহার দায়ের করা হলে মঙ্গলবারই গ্রেফতার করা হয় মারধোর ও মহিলাকে জুতোর মালা পরিয়ে গ্রামে ঘোরানোর ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নেওয়া পাঁচজনকে। গ্রেফতারের পর বুধবার এদের আদালতে পেশ করে পুলিশ। আদালতের নির্দেশে তাদের প্রেরণ করা হয়েছে হাজতে।

মহিলা পুলিশকে জানিয়েছেন, তার স্বামী কর্মসূত্রে থাকেন বাইরে। স্বামী বাইরে থাকাকালীন ভিডিওকল মারফত তারা দুজনে কিছু যৌন আচরণ করেছিলেন।স্বামী নিজের মোবাইলে এই ভিডিও কলের পুরো ছবি রেকর্ডিং করে রাখেন। দিন কয়েক আগে স্বামী বাড়িতে আসেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তিনি ট্রেনে আসার সময় তার মোবাইল হারিয়ে যায় বা চুরি হয়ে যায়। এর কিছুদিন পর দেখা যায় তাদের ভিডিও কলের যে রেকর্ডিং ছিল তা ভাইরাল হয়ে গেছে। গ্রামের লোকেদের তা নজরে পড়ার পর কয়েকজন তাদের এ নিয়ে জবাবদিহি করেন। বলা হয় সস্তা প্রচারের লোভে
তারা নাকি নিজেদের এই যৌন ভিডিও ভাইরাল করে দিয়েছেন। এরপর মঙ্গলবার দুপুরে সভা ডেকে তাদের দুজনকে মারপিট করা হয়। মারপিটের পর তার গলায় জুতোর মালা পরিয়ে ঘোরানো হয় পুরা গ্রাম।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হলেও নজরে রয়েছেন আরো কয়েকজন। এরা বর্তমানে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন। শীঘ্রই অন্যদেরও গ্রেফতার করা হবে।