অনলাইন ডেস্ক : মিজোরামে গত দশদিন ধরে ইয়ং মিজো এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে অমিজো ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানো হচ্ছে। ৯১ টি দোকানের মালিক,কর্মী সহ অনেকেই পালিয়ে বরাক উপত্যকায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। একই ভাবে মনিপুরেও অশান্তির আগুন থামছে না। সমগ্র ঘটনাক্রম নিয়ে এবার তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করল বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট। এক প্রেস বার্তায় বিডিএফ মূখ্য আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তরায় বলেন যে সমগ্র উত্তরপূর্বে অশান্তির আগুন জ্বলছে এবং এতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন বাঙালি সহ অনুপজাতিরা। কিন্তু আসামের দোর্দণ্ডপ্রতাপ মুখ্যমন্ত্রী কিম্বা কেন্দ্রীয় স্বরাস্ট্র মন্ত্রী সমগ্র ব্যাপারে নির্বিকার ভূমিকা পালন করছেন। একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রে এক গোষ্ঠী দ্বারা অন্যদের উপর এই ধরণের নিপীড়ন,অত্যাচার অভুতপূর্ব। শুধু উত্তর পূর্বেই বারবার এর পুনরাবৃত্তি হয়। তিনি বলেন যদি আসাম অসমিয়াদের জন্য মিজোরাম মিজোদের জন্য মনিপুর মনিপুরীদের জন্য হয় তবে ভারতবর্ষ নামক রাষ্ট্র কার জন্য ? আসামের মুখ্যমন্ত্রী নিজে নর্থ ইস্ট ডেমোক্রেটিক এ্যলায়েন্সের আহ্বায়ক হয়েও এইসব সমস্যা সমাধানে মোটেই আগ্রহ দেখান না, উল্টে সর্বভারতীয় রাজনীতি নিয়ে ব্যাস্ত । তিনি আরো বলেন যে আসামের সাথে পার্শ্ববর্তী রাজ্যের সীমা সমস্যাও লেগেই আছে। প্রদীপবাবু এদিন মিজোরামে এই ধরনের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির পরিপ্রেক্ষিতে অবিলম্বে রাস্ট্রপতি শাসন জারি করার দাবি জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেন যে যদি কেন্দ্রীয় সরকার উত্তর পূর্বের অনুপজাতিদের সুরক্ষা অবিলম্বে সুনিশ্চিত করতে না পারে তবে সমভাবাপন্ন সমস্ত সংগঠনদের সাথে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট। ইয়ং মিজো এসোসিয়েশনের সাম্প্রতিক কর্মকান্ডকে ধিক্কার জানিয়ে তিনি বলেন যে এটা মনে রাখা দরকার যে বাইরের সাথে মিজোরামের যোগাযোগের রাস্তাটি বরাক দিয়ে গেছে এবং এটি মিজোরামের জীবনরেখা,যা বন্ধ হলে মিজোরামে খাদ্য মিলবে না। তাই যদি অবিলম্বে অমিজোদের উপর এসব নিপীড়ন,নির্যাতন বন্ধ না হয় তবে বরাকের জনগন স্বতস্ফুর্তভাবে এই সড়ক অবরোধ করতে বাধ্য হবেন। এটা যেন তারা মনে রাখেন। বিডিএফ মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে এক প্রেস বার্তায় এই খবর জানিয়েছেন আহ্বায়ক হৃষীকেশ দে।