অনলাইন ডেস্ক : শুক্রবার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে মুখ্যমন্ত্রীর সভা চলাকালীন এক মহিলা এসে ‘মামা মামা’ বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাকে দেখে মঞ্চ থেকে নেমে এগিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী এবং জানতে চান কি হয়েছে। মহিলা জানান, জমি মাফিয়ারা জবরদস্তি তার সম্পত্তি দখল করেছে এবং বহু জায়গায় সাহায্য চেয়েও তিনি অসহায়। মুখ্যমন্ত্রী তার জমির কাগজ দেখতে চান এবং কাগজটি দেখে পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিষয়টি সমাধান করতে।
মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট বাংলায় তার সঙ্গে কথা বলেন, তাকে সান্ত্বনা দিয়ে বিষয়টি বুঝিয়ে বলতে বলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগে কান্না বন্ধ করুন, দুই মিনিট সময় নিন এবং বিষয়টি বুঝিয়ে বলুন।’ তার ঠিক পাশেই তখন কয়েক’শো যুবক যুবতী ‘মামা মামা’ বলে চিৎকার করছিলেন। প্রত্যেকেই মোবাইল হাতে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সেলফি তুলতে আগ্রহী ছিলেন। তাদের থামিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ওই মহিলার কথা শোনেন, তাকে আশ্বস্ত করেন এবং সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে নির্দেশও দেন। তিনি ওই মহিলাকে বলেন, ‘আপনি কাল পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি বুঝিয়ে বলবেন, আর কান্নাকাটি নয়।’ এরপর তার প্রিয় ভাগ্নে-ভাগ্নিদের সঙ্গে সময় কাটান, প্রত্যেকের সেলফির অনুরোধ রাখেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা নতুন নয়, তবে বরাক উপত্যকায় এলে তাকে নিয়ে উচ্ছ্বাস যেন নতুন মাত্রা পায়।মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়ে পুলিশ সুপার নুমাল মাহাত্তা ওই মহিলার সঙ্গে দেখা করেন এবং তাকে শুক্রবার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আসতে বলেন। নুমাল জানিয়েছেন, ওই মহিলাকে তার কাগজপত্র নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী আমরা তদন্ত করব। তবে এর আগে মহিলার কাগজপত্র যাচাই করে দেখতে হবে। সত্যিই যদি তার সঙ্গে অন্যায় হয়ে থাকে, এর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেব আমরা। এতে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের প্রয়োজনে ডেকে পাঠানো হবে।’