অনলাইন ডেস্ক : মাতৃভাষা অধিকার রক্ষার শপথ নিয়ে কাছাড় জেলার বিভিন্ন জায়গায় জগন্ময় দেব এবং দিব্যেন্দু দাসকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে ছাত্র সংগঠন এআইডিএসও, যুব সংগঠন এআইডিওয়াইও, মহিলা সংগঠন এআইএমএসএস এবং কিশোর কিশোরী সংগঠন কমসোমল৷
শুক্রবার শিলচরে শহিদ ক্ষুদিরাম মূর্তির পাদদেশে সংগঠনগুলির কাছাড় জেলা কমিটির উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এদিন ভাষা শহিদদের অস্থায়ী বেদী স্থাপন করে শ্রদ্ধা জানান বিশিষ্ট শিক্ষক সুব্রত চন্দ্র নাথ, অধ্যাপক অজয় রায়, এআইডিওয়াইও”র জেলা সহ-সভাপতি পরিতোষ ভট্টাচার্য, এআইডিএসও”র জেলা সহ-সভাপতি প্রশান্ত ভট্টাচার্য, কোষাধ্যক্ষ পল্লব ভট্টাচার্য, এআইএমএসএসএর পক্ষে খাদেজা বেগম লস্কর, এআইকেকেএমএস-র পক্ষে সজল কান্ত দাস এবং উপস্থিত সংগঠগুলোর সদস্যবৃন্দ।
আলোচনা সভার পূর্বে সঙ্গীত পরিবেশন করেন গৌতম নন্দী, দেবজিতা দাস, বিপ্লব ঘোষ প্রমুখ। বিশিষ্ট শিক্ষক সুব্রত চন্দ্র নাথ বলেন, অসমে এজিপি সরকার প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর ১৯৮৬ সালে ভাষা সার্কুলার জারি করে অনসমিয়া ভাষিক-গোষ্ঠীর মানুষদের মৌলিক অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার চক্রান্ত করে। এ ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়ে বরাক উপত্যকার সংগ্রামী মানুষ তথা ছাত্র-যুব সম্প্রদায়। ১৯৬১ সালের মাতৃভাষা আন্দোলনের শহিদের আত্মবলিদানের চেতনাকে পাথেয় করে ছাত্র যুবরা স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৮৬ সালের আজকের দিনে করিমগঞ্জে আসামের তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই আন্দোলনকারীদের উপর নির্মমভাবে গুলি চালায়। ফলে মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষা করতে গিয়ে শহিদের মৃত্যুবরণ করেন জগন্ময় দেব ও দিব্যেন্দু দাস। তাঁদের এই আত্মত্যাগের ফলে আসাম সরকার ভাষা সার্কুলার তুলে নিতে বাধ্য হয়।
তিনি এও বলেন, রাজ্য সরকার রাজ্যের মানুষের মাতৃভাষার অধিকার খর্ব করার চক্রান্ত স্বরূপ বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে অসমীয়া ভাষা চাপিয়ে দিতে চাইছে৷ অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকার অনৈতিক ভাবে দেশের জনসাধারণের উপর হিন্দি ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত করছে। সরকারের এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাবার তিনি আহ্বান জানান৷ পাশাপাশি জেলার ধোয়ারবন্দ অঞ্চলেও জগন্ময় দেব এবং দিব্যেন্দু দাসকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়।