অনলাইন ডেস্ক : ব্রকলিকে অনেকে সবুজ ফুলকপি নামেও চেনেন। কয়েক বছর আগেও এই সব্জির সঙ্গে আমাদের খুব একটা পরিচয় ছিলনা। কিন্তু ইদানিং আমাদের দেশে প্রচুর পরিমাণে ব্রকলির চাষ হচ্ছে এবং জনপ্রিয়তাও বাড়ছে। চাইনিজ খাবারে ব্রকলি অন্যতম প্রধান উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আমাদের সব্জি বাজারে শীতকালে প্রায় প্রতিদিনই ব্রকলি পাওয়া যায়। এই সব্জির মধ্যে কী কী পুষ্টিগুণ লুকিয়ে আছে আর এর অপকারিতাই বা কতটুকু, আসুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।
১) ব্রকলিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভোনয়েড, ভিটামিন সি, বিটা ক্যারোটিন, সেলিনিয়াম এবং জিক্সানথিন। এগুলো অনেক গুরুতর রোগ প্রতিরোধ করে থাকে। বিশেষ করে প্রস্টেট, কোলন, ফুসফুস, যকৃত, স্তন ও প্যাঙ্ক্রিয়াটিস ক্যানসারের বিরুদ্ধে এই উপাদানগুলি শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
২) পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ ব্রকলি স্নায়ুতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সহায়ক। এর মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম হাড়ের শক্তি জোগায়।
৩) ব্রকলিতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে দ্রবণীয় ফাইবার, যা কোলেস্টেরলকে শরীর থেকে নির্গত করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
৪) ব্রকলি রক্তে শর্করার মাত্রা কম রাখতে সক্ষম। ওজন কমাতেও ব্রকলি সহায়ক।
৫) পেট পরিষ্কার রাখতে এবং পাচনতন্ত্র ভালো রাখতে ব্রকলির জুড়ি নেই। যাঁদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে, তাঁরা নিয়মিত ব্রকলি খেলে উপকার পাবেন।
৬) ব্রকলিতে রয়েছে আইসোথিওসায়ানেটস্ এবং সালফোরাফেন, যা হৃদপিণ্ডে রক্ত সঞ্চালনে সহায়ক। সালফোরাফেন গ্যাস্ট্রিক আলসার কমাতেও সাহায্য করে।
৭) ব্রকলির অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান বিভিন্ন অ্যালার্জি থেকে হওয়া সংক্রমণের প্রবণতা রোধ করে এবং বিভিন্ন প্রদাহ থেকে শরীরকে রক্ষা করে।
এবার জেনে নেওয়া যাক ব্রকলির অপকারিতা সম্পর্কে—-
১) যাঁদের থাইরয়েডের সমস্যা রয়েছে, তাঁরা এই সব্জিটি থেকে দূরে থাকুন। কারণ ব্রকলি খেলে থাইরয়েড গ্রন্থির উপর প্রভাব পড়ে, যার ফলে ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে।
২) কাঁচা ব্রকলি স্যালাড বা চাটনি করে খাওয়ারও চল রয়েছে। কিন্তু এতে এমন কিছু উপাদান আছে, যেগুলো সহজে হজম হয় না এবং গ্যাসের সমস্যা তৈরি করে। তাই কাঁচা ব্রকলি না খেয়ে রান্না করা ব্রকলি খাওয়াই নিরাপদ।