অনলাইন ডেস্ক : কালাইন সড়কের তারাপুর শিববাড়ি থেকে বেশ কিছু এলাকার হাল বেহাল। এর সুরাহা চেয়ে বৃহস্পতিবার রায়গড় এবং অসমীয়া বস্তি এলাকায় ওই সড়কের উপর গড়ে তোলা হয় অবরোধ।
এদিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ দল মত নির্বিশেষে স্থানীয় লোকেরা গড়ে তোলেন অবরোধ। এতে স্তব্ধ হয়ে পড়ে যান চলাচল। অবরোধকারীরা ক্ষোভ ব্যক্ত করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সড়কের হাল বেহাল। এতে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা, আর সঙ্গে রয়েছে ধূলোরঝড়। সব মিলিয়ে তাদের অবস্থা হয়ে পড়েছে সঙ্গীন। এনিয়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আর্জি জানালেও কাজ শুরু হয়নি। এই অবস্থায় গত ডিসেম্বর মাসে একদফা অবরোধ করা হয়। তখন প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় শীঘ্রই শুরু হবে কাজ এবং ধূলোঝড় রুখতে প্রতিদিন দু’বেলা ছিটানো হবে জল। কিন্তু এরপর কাজ তো শুরু হয়ইনি, আর
কয়েকদিন জল ছিটানোর পর তাও বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাদের সমস্যা যে তিমিরে যে ছিল থেকে যায় সেই তিমিরেই। তাই তারা ফের পূর্তকর্তাদের দরবারে হাজির হয়ে আর্জি জানাতে থাকেন। কিন্তু তাদের কোনও কথাই কানে তোলা হয়নি। বাধ্য হয়ে এদিন ফের শুরু করেন অবরোধ।
সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ অবরোধ শুরুর পর খবর পেয়ে বাহিনী নিয়ে ছুটে যান সদর থানার ওসি অমৃত কুমার সিং সহ অন্যান্য পুলিশ কর্তারা। পুলিশ বুঝিয়ে শুনিয়ে রাস্তা অবরোধ মুক্ত করার চেষ্টা চালালেও কাজ হয়নি। অবরোধকারীদের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, হাজির হতে হবে প্রশাসনের
কর্তাব্যক্তিদের। কিছুক্ষন পর প্রশাসনের তরফে হাজির হন ম্যাজিস্ট্রেট অদিতি নূনিসা। হাজির হন পূর্ত(সড়ক) বিভাগের কর্তাব্যক্তিরাও।
বেশ কিছুক্ষণ আলাপ আলোচনার পর প্রতিশ্রুতি পেয়ে দুপুর ১টা নাগাদ রায়গড়ে যারা অবরোধ গড়ে তুলেছিলেন, তারা রাস্তা থেকে সরে যান। তবে অসমীয়া বস্তি এলাকায় যারা অবরোধ গড়ে তুলেছিলেন তারা সরতে রাজি হননি। এই অবস্থায় প্রশাসন ও পূর্ত ( সড়ক) বিভাগের কর্তাব্যক্তিরা সেখানকার অবরোধকারীদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা চালাতে থাকেন। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়, সড়কে মোটামুটি চলাচলের উপযোগী করে তোলার জন্য আজ রাত থেকেই শুরু করা হবে কাজ। এছাড়া নিয়মিত ছিটানো হবে জল। এই প্রতিশ্রুতি পেয়ে দুপুর দুটা নাগাদ অসমীয়াবস্তির অবরোধকারীরাও রাস্তা মুক্ত করে সরে যান। তবে সরে যাবার আগে তারা জানিয়ে দেন প্রতিশ্রুতি মতো কাজ না হলে, আগামীকাল শুক্রবার থেকে ফের শুরু হবে অবরোধ।