অনলাইন ডেস্ক : খেলোয়াড়দের অভ্যর্থনা জানানো হলনা, উল্টো প্রাক্তন সচিব বিজেন্দ্র প্রসাদ সিং-র ঝাঁজালো শাসানিতে বিব্রত হয়ে ফিরলেন শিলচর ডিএসএ-র কর্মকর্তারা। অসম প্রিমিয়ার ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপে বিজয়ী ইটখলা এসি -র ক্রিকেটারদের সাদর অভ্যর্থনা জানাতে মঙ্গলবার দুপুরে শিলচর রেল স্টেশনে উপস্থিত হয়েছিলেন ডিএসএ-র কর্মকর্তারা। কিন্তু খেলোয়াড়দের অভ্যর্থনা না জানিয়েই ফিরতে হল তাদের। দল যখন রেল স্টেশন থেকে বেড়িয়ে আসছিল তখন স্টেশনের বাইরে একপাশে দাঁড়িয়েছিলেন ডিএসএ-র কর্মকর্তারা। ডিএসএ-র প্রতিনিধি দলে ছিলেন সভাপতি শিবব্রত দত্ত, সচিব অতনু ভট্টাচার্য, কোষাধ্যক্ষ বুদ্ধদেব চৌধুরী, দুই সহ সচিব দেবাশিস সোম ও অজয় রায়। সংবর্ধনা জানাতে তারা খেলোয়াড়দের দিকে এগিয়ে যেতেই তাদের বাঁধা দেন ডিএসএ-র প্রাক্তন সচিব এবং ইটখলা ক্লাবের প্রাক্তন সচিব বিজেন্দ্র প্রসাদ সিং। ডিএসএ-র সভাপতি বলে ওঠেন, ‘ বিজয়ী দলকে অভ্যর্থনা জানানোর অধিকার কি আমাদের নেই ? বিজেন্দ্র পরিস্কার বলেদেন ‘না’। বলেন, ‘ কেন না সেটা পরে জানাবো।’

এতে থমকে যান ডিএসএ-র কর্মকর্তারা। এবং সংবর্ধনা জানানো থেকে বিরত থাকেন। পরে রেলি স্টেশন থেকে বেড়িয়ে গেলে ডিএসএ-র সভাপতি শিবব্রত দত্ত সাংবাদিকদের বলেন, ‘ চূড়ান্ত অপমান করা হয়েছে আমাদের। খেলোয়াড়দের সংবর্ধনা দিতে কোনও সাধারণ লোক হয়ে এখানে আসিনি, এসেছি শিলচর ডিএসএ-র সভাপতি হিসেবে। ক্রীড়া জগতের একজন লোকের কাছ থেকে এধরণের আচরণ আশা করা যায়না। ‘
সঙ্গে থাকা সচিব অতনু ভট্টাচার্য, বুদ্ধদেব চৌধুরী, দেবাশিস সোম, অজয় রায়রা বলেন, ‘সভাপতিকে অপমান করা মানে, পুরো ডিএসএ-কেই অপমান করা হয়েছে। আমরা এই ঘটনাকে ধিক্কার জানাই। ‘ ইটখলা এসি -র প্রাক্তন সচিব বিজেন্দ্র প্রসাদ সিং -কে এব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘ গত ৪৮ ঘন্টায় অভিভাবক সংস্থা হিসেবে ক্লাবকে শুভেচ্ছা জানানো হয়নি। তাহলে কিসের ভিত্তিতে এখানে অভ্যর্থনা জানাতে এলেন তারা।’ এর বেশি কিছু আর বলতে চাননি বিজেন্দ্র।
জানাগেছে, ব্যাপারটিকে খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন ডিএসএ-র কর্মকর্তারা। আজই সন্ধ্যায় এনিয়ে জরুরি বৈঠকেও বসেছেন তারা।