অনলাইন ডেস্ক : মঙ্গলবার বর্ষবরণের রাতের পার্টিতে স্বল্পবসনা নর্তকীর অশ্লীল নৃত্যকে ঘিরে পার্ক রোডের হোটেল বাড়াইলভিউ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে শহরে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল আগেই। বৃহস্পতিবার এর রেশ ধরে হোটেলের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। সে সময় উত্তেজিত একাংশ বিক্ষোভকারী হোটেল লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া সহ ভেতরে ঢুকে ভাঙচুরও চালান । বিক্ষোভ প্রদর্শনের আগেই হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় এজাহার। এজাহার দায়ের করেছেন বিভিন্ন এনজিওর সদস্যরা। এর ভিত্তিতে পুলিশ হোটেলের দুই ম্যানেজারকে আটক করেছে বলে জানা গেছে।
এদিন সন্ধ্যায় বিভিন্ন এনজিওর সদস্য, বজরং দল ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা গান্ধীবাগের সামনে সমবেত হয়ে এরপর মিছিল করে অদূরে হোটেলের সামনে। বিক্ষোভ কার্যসূচীকে ঘিরে হোটেলের গেটের সামনে আগে থেকেই তৈরি ছিল পুলিশ। বিক্ষোভকারীরা পৌঁছার আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয় হোটেলের গেট। গেটের সামনে পৌঁছে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু হলে একাংশ উত্তেজিত বিক্ষোভকারী পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙ্গে ভেতরে যাওয়ার জন্য ঠেলা ধাক্কা শুরু করেন। এরমধ্যে একাংশ লোক শুরু করেন হোটেল লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে। কয়েকজন আবার ডানপাশের দেওয়াল টপকে ভেতরে গিয়ে ভাংচুর চালাতে শুরু করেন। অবশ্য পুলিশ সক্রিয় থাকায় খুব বেশি ভাঙচুর চালাতে সক্ষম হয়নি উত্তেজিত বিক্ষোভকারীরা। কিছুক্ষণ এসব চলার পর সরে যান বিক্ষোভকারীরা।
এক এনজিওর কর্মকর্তা পল্লবিতা শর্মা ও বজরং দলের কর্মকর্তা মিঠুন নাথ বলেন, বর্ষবরণের পার্টির নামে বড়াইল ভিউ হোটেলে যা হয়েছে তা কবির শহর, শহীদের শহর শিলচরে মেনে নেওয়া যায় না। তারা ক্ষোভ ব্যক্ত করে বলেন, শুধু দুই ম্যানেজারকে আটক করলেই চলবে না। হোটেলের মালিকপক্ষের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।