নয়াদিল্লি, ২২ ডিসেম্বর : চিনে ফের দাপট দেখাতে শুরু করেছে করোনা ভাইরাস। প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ভারতেও ইতিমধ্যে করোনার অতি সংক্রামক বিএফ.৭ ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। তাই নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্র। বুধবার করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বিভিন্ন রাজ্যের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। রাজ্যগুলিকে কড়া নির্দেশ জারি করেছিলেন। এবার বৃহস্পতিবার খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় জরুরি বৈঠকে বসছেন। বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিকরা উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।
আসলে চিনে যে ভয়ংকর নয়া ভ্যারিয়েন্ট ফের করোনা ভাইরাসকে ত্রাসে পরিণত করেছে, সেই ভয়ংকর ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান মিলেছে ভারতেও। গত কয়েকমাসে ভারতে মোট ৪ জন এই নয়া ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে দু’জন গুজরাটের বাসিন্দা এবং দু’জন ওড়িশার বাসিন্দা। শুধু তাই নয়, রাজধানী দিল্লিতে আরও বেশ কয়েকজন এই নয়া ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করছে সরকার। পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে বেরিয়ে না যায়, সেটা নিশ্চিত করতে বৃহস্পতিবারই প্রধানমন্ত্রী জরুরি বৈঠকে বসছেন।
শুধু মোদি নন, বিভিন্ন রাজ্যও কোভিড ছড়িয়ে পড়া রুখতে জরুরি ভিত্তিতে আসরে নামছে। বৃহস্পতিবারই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডেও জরুরি বৈঠকে বসছেন। সূত্রের খবর, করোনার নতুন করে ছড়িয়ে পড়া রুখতে ফের টেস্টিং এবং বুস্টার ডোজ দেওয়ায় জোর দিতে চাইছে সরকার।
যদিও করোনা নিয়ে কেন্দ্রের এই সতর্কতার পিছনে রাজনীতি দেখছে বিরোধীরা। কংগ্রেস যেমন বলেই দিচ্ছে, রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রা বন্ধ করা এবং আগামী বছর যে ৯ রাজ্যের ভোট আছে, সেটা পিছিয়ে দেওয়ার জন্যই নতুন করে করোনা হাওয়া তুলে বাজার গরম করতে চাইছে সরকার। কংগ্রেস বলছে, আগামী বছর যে ৯টি রাজ্যে ভোট তার বেশিরভাগেই স্বস্তিতে নেই বিজেপি। সেকারণেই করোনার হাওয়া তুলে ভোট পিছনোর চেষ্টা করা হচ্ছে।