অনলাইন ডেস্ক: ভারতের বিলাসবহুল প্রমোদতরণী হল এমভি গঙ্গাবিলাস।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত দিয়ে যার যাত্রা শুরু হয়েছে। বারাণসী থেকে ডিব্রুগড় যাত্রা শুরু করেছে গঙ্গাবিলাস। যাত্রার দিন দুয়েকের মধ্যেই বিতর্কে জড়াল ক্রুজটি। গঙ্গাবিলাসে নাকি রয়েছে বার। যেখানে বসে সুরাপ্রেমীরা সুরাপান করতে পারেন। এমন দাবি করেই বিতর্ক উসকে দিলেন সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদব।
গত ১৩ জানুয়ারি ভারচুয়ালি গঙ্গাবিলাসের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২৭টি নদী পেরিয়ে ৫০টি পর্যটনস্থল দেখাতে দেখাতে ৫১ দিন ধরে ৩২০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করবে বিশ্বের দীর্ঘতম ক্রুজটি। আর উদ্বোধনের দু’দিন পরই মোদি সরকারকে খোঁচা অখিলেশের। তাঁর দাবি, পুরনো জিনিস নতুন মোড়কে পেশ করতেই অভ্যস্ত বিজেপি। গত ১৭ বছর ধরে চলছে এই ক্রুজটি। তাই এক্ষেত্রে বিজেপি সরকারের কোনও কৃতিত্ব নেই। তাঁর কথায়, অনেক বছর ধরে এই ক্রুজটি চলছে। নতুন নয়। আমাকে একজন জানাল গত ১৭ বছর ধরেই ক্রুজটি যাতায়াত করছে। বিজেপি নতুন করে এর সঙ্গে কিছু অংশ জুড়েছে। নিপুনভাবে মিথ্যে প্রচার করতে পারে তারা। এরপরই তিনি যোগ করেন, গঙ্গাবক্ষে বিচরণের সময় গঙ্গাবিলাসের যাত্রীদের মদও পরিবেশন করা হচ্ছে। তাঁর এই মন্তব্যেই উসকে যায় বিতর্ক। মোদি সরকারের সাফল্য সহ্য করতে না পেরেই এ ধরনের মন্তব্য করছেন অখিলেশ, বলে পালটা দেওয়া হয় গেরুয়া শিবিরের তরফে। এদিকে, গঙ্গাবিলাসের দায়িত্বে থাকা অন্তরা লাক্সারি রিভার ক্রুজের প্রতিষ্ঠাতা জানান, যাত্রীদের শুধুমাত্র ভারতীয় নিরামিষ খাবার পরিবেশন করা হয়। মদ পাওয়া যায় না। তবে নন-অ্যালকোহলিক পানীয় পরিবেশন করা হয়। অর্থাৎ অখিলেশ যা শুনেছেন, তা ভিত্তিহীন বলেই দাবি করলেন ক্রুজের প্রধান।
উল্লেখ্য, বিলাসবহুল ক্রুজটি লম্বায় ৬২ মিটার। চওড়ায় ১২ মিটার। তিনতলা জাহাজটিকে সাজিয়ে তুলতে খরচ হয়েছে ৬৮ কোটি টাকা। রয়েছে ১৮টি সুইট। যেখানে ৩৬ জন পর্যটকের থাকার ব্যবস্থা করা সম্ভব। সান ডেক থেকে বসে একান্তে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সাক্ষী থাকা যাবে। রয়েছে স্পা, লাউঞ্জ, রেস্তরাঁ, লাইব্রেরি ও জিম। জাহাজের অন্দরসজ্জা হার মানায় যে কোনও পাঁচতারা হোটেলকেও। যাত্রীদের খরচ প্রতি রাতে ৫০ হাজার টাকা। যদি কেউ এই ক্রুজে যাত্রা করার কথা ভেবে থাকেন, তাহলে জানিয়ে দিই, ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত এর সমস্ত টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। তাই আরও সোয়া বছর অপেক্ষা করতে হবে।