অনলাইন ডেস্ক : স্বাধীনতার ৭৬ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরও ফকিরটিলা ও কর্ণমধুর ফেরিঘাটে লঙ্গাই নদীর উপর পাকা সেতু নির্মাণের দীর্ঘদিনের। এই গণ দাবি পূরণ করতে আজ পর্যন্ত কেউ এগিয়ে আসেননি।তাই অনেক আন্দোলন,সভা,মিছিল সহ বিধায়ক ও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সেতু নির্মাণের জোরালো দাবি জানিয়ে এলেও কেউ এ জায়গাটিতে সেতু নির্মাণ করে দেওয়ার ব্যাপারে এগিয়ে আসেননি। ফলে বাধ্য হয়ে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সহ বিভাগীয় কর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ সহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের দাবিতে ফের করিমগঞ্জের পুলিশসুপার কার্যালয়ের সামনে অনশন ধর্মঘটে বসলেন ফকিরটিলা ও কর্ণমধু সহ জেলার প্রচুর জনগণ। এদিন সেতু নির্মাণ করে দেওয়া সহ নানা স্লোগান দিয়ে আকাশ বাতাস মুখরিত করে তুলেন অনশনে অংশগ্রহণকারীরা। পরে অনশনস্থলে উপস্থিত ডিমান্ড কমিটির মুখ্য উপদেষ্টা জুনেদ আহমদ,কমিটির সভাপতি খালেদ আহমদ,ফজলে আলম সিদ্দিকি সহ অন্যান্যরা সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, কর্ণমধু ও ফকিরটিলা এই দুটি এলাকার সংযোগরক্ষার জন্য লঙ্গাই নদীর উপর একটি পাকা সেতু নির্মাণের দাবি বৃহত্তর এলাকার আট দশটি গ্রামের মানুষের। অনেক নেতা এখানে সেতু নির্মাণ করে দেবেন বলে বৃহত্তর এলাকার মানুষকে বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট বৈতরণী পার হচ্ছেন। কিন্তু ভোটে জিতে যাওয়ার পর সবাই প্রতিশ্রুতি বেমালুম ভুলে যান বলে উল্লেখ করেন তারা। তাছাড়া তাদের আরও বক্তব্য, এই জায়গায় উপযুক্ত সেতুর অভাবে গোটা এলাকাবাসী চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বৃহত্তর এলাকার কয়েক হাজার জনগণ লঙ্গাই নদী পারাপারে এখনও নৌকা সহ বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করে আসছেন। নদীতে বন্যা এলে নৌকা দিয়ে স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী সহ সাধারণ জনগণ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রয়োজনের তাগিদে চলাফেরা করেন। তখন অনেকেই দুর্ঘটনার শিকার হন।সেতুর অভাবে বৃহত্তর এলাকার জনগণ উপযুক্ত শিক্ষাদীক্ষা সহ আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে সেতু ডিমান্ড কমিটির কর্মকর্তারা জানান । কিন্তু আজ পর্যন্ত নেতা-আমলা,বিধায়ক সহ সরকার সেতু নির্মাণের গণ দাবি পূরণ করেনি। তাই গোটা এলাকা সহ জেলার বহুসংখ্যক মানুষকে সঙ্গে নিয়ে দফায় দফায় আন্দোলনের পর ফের পাকা সেতুর দাবিতে এদিন অনশন ধর্মঘট পালন করা হয়। এরপরও যদি কর্ণমধু-ফকিরটিলা সংযোগকারী পাকা সেতু নির্মাণ করা না হয় তাহলে তারা আগামীতে বিভিন্ন পদ্ধতিতে আন্দোলন সহ ভোট বয়কটের পথে হাঁটতে বাধ্য হবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এদিনের অনশন ধর্মঘটে উপস্থিত ছিলেন মোবারক আলি, নাজিম উদ্দিন,আতাউর রহমান,ফয়সল আহমদ,এমাদ উদ্দিন,সিয়াব উদ্দিন,আব্দুল হান্নান, সোয়েল আহমদ,আব্দুল তাহির তালুকদার সহ প্রচুরসংখ্যক জনগণ ।