অনলাইন ডেস্ক : পশ্চিমবঙ্গে আয়োজিত বিশ্ব বঙ্গ সাহিত্য এবং সাংস্কৃতিক সম্মেলনে দারুণ অনুষ্ঠান পরিবেশন করল করিমগঞ্জের নৃত্যনীড়। বিশ্ব বঙ্গের ২৩ তম সম্মেলন ও সাংস্কৃতিক উৎসব গত ২৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে। এই মঞ্চে বরাক উপত্যকার বিশিষ্ট নৃত্য শিক্ষা কেন্দ্র নৃত্যনীড় দুইদিন অনুষ্ঠান পরিবেশন করে ২৮ এবং ২৯ ডিসেম্বর। করিমগঞ্জের দলটির সাড়া জাগানো ব্যালে “দেশহারাদের আত্মকথা” পরিবেশিত হয় ২৮ ডিসেম্বর।
অনুষ্ঠান উপভোগ করেছেন পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূলের বিশিষ্ট নেতা তথা সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশ্ব বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলনের সভাপতি তথা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায়, সম্পাদক রাধাকান্ত সরকার সহ বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধিরা। উত্তর-পূর্বের জাতিদ্বেষের আবহে বাঙালি অস্তিত্বের সংকট, নাগরিকত্ব- ডি ভোটার-ডিটেনশন, নাগরিকপঞ্জি নবায়ন কিংবা সিএএ –এই সামগ্রিক পরিস্থিতির উপস্থাপন-সূত্রে অভিবাসন আর প্রব্রজনের বিশ্বজোড়া বাস্তবতার প্রসঙ্গটি এই প্রযোজনায় হৃদয়স্পর্শী ভাবে উঠে এসেছে। বলিষ্ঠ স্ক্রিপ্ট এবং নাট্য ও নৃত্যের সমবায়ী উপস্থাপনের মুন্সীয়ানার প্রশংসা করেছেন দর্শকেরা। আপ্লুত হয়ে অনেকেই বলেছেন, সংকটের এই বহুমাত্রিকতা তাদের জানা ছিল না। এই প্রযোজনাটি উপস্থাপনের জন্য নৃত্যনীড়কে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বাংলাদেশ সহ পশ্চিমবঙ্গের দু একটি সংস্থা। ডঃ মধুমিতা দাস ভট্টাচার্য নির্দেশিত গৌড়ীয় নৃত্যনাট্য ‘কথামানবী’ উপস্থাপিত হয় ২৯শে ডিসেম্বর। মল্লিকা সেনগুপ্তের বিখ্যাত কবিতা আধারিত মঞ্চসফল এই প্রযোজনাটিও দর্শকদের চিত্ত জয় করে নেয়। বিশ্ব বঙ্গ সম্মেলনের বড়ো মঞ্চে সফল অনুষ্ঠান করা, বিশেষত পূর্বোত্তরের বাঙালির সমস্যা সংকটকে একটি রাজনৈতিক প্রযোজনায় তুলে ধরা নৃত্যনীড়ের মুকুটে নতুন পালক যুক্ত করেছে।