অনলাইন ডেস্ক : উচ্চতর মাধ্যমিক পরীক্ষায় নিজের পরীক্ষার্থী কন্যাকে সহায়তা করে মামলায় জড়ানো শিক্ষক পিতা আনোয়ারুল হক বড়ভূইয়া শুক্রবার সকালে বাশকান্দি পুলিশ ফাড়িতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। উল্লেখ্য গত ১৩ মার্চ দ্বাদশ বর্ষের চুড়ান্ত পরীক্ষায় ঐচ্ছিক বাংলা বিষয়ের পরীক্ষার দিন নিজের পরীক্ষার্থী কন্যাকে সহায়তা করার এক ভিডিও ভাইরেল হয়েছিল।ভিডিও টি ভাইরেল করেছিলেন সহকর্মী শিক্ষক বিকাশ পুরকায়স্থ।এই ঘটনাটি সংঘটিত হয় বাশকান্দি নেনামিয়া উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষা কেন্দ্রে। এই ঘটনা নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গত ১৪ মার্চ বাশকান্দি পুলিশ ফাড়িতে শিক্ষক আনোয়ারুল হক বড়ভূইয়া ও বিকাশ পুরকায়স্হের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সালেহ আহমদ লস্কর। ৭৬/২৩ নম্বরে,১২০বি/৪১৭/৪০৬ আইপিসি ও ৭২ আইটি এ্যক্ট অন্তর্ভুক্ত করে লক্ষীপুর থানায় মামলা নথিভুক্ত হয়। আজ শুক্রবার সকালে শিক্ষক আনোয়ারুল নিজে বাশকান্দি পুলিশ ফাড়িতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।দিনভর জেরা করার পর গ্রেফতার করা হয়।পরে বিকেলে লক্ষীপুর মহকুমা আদালতে শিক্ষক আনোয়ারুল কে হাজির করায় পুলিশ।আদালতের নির্দেশে প্রেরণ করা হয়েছে জেল হাজতে। পরীক্ষার্থী মেয়েকে সাহায্য করা শিক্ষক আনোয়ারুল হক ও পরীক্ষা কেন্দ্রে সেলফোন নিয়ে ভিডিও করে সেই ভিডিও ভাইরেল করা শিক্ষক বিকাশ পুরকায়স্থ কে গত ১৪ মার্চ পৃথক নির্দেশে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন জেলা স্কুল সমূহের পরিদর্শক সামিনা ইয়াসমিন আরা রহমান। এই ঘটনার পর বাশকান্দি নেনামিয়া উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আরেকজন সহকারি শিক্ষিকা সাহিদা বেগমকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানা যায়।। জেলা স্কুল সমূহের পরিদর্শকের সঙ্গে অযথা তর্কে জড়ানোর জন্য শিক্ষিকা সাহিদা বেগমকে সাময়িক বরখাস্ত হতে হয়েছে বলে জানা যায়। একসঙ্গে বাশকান্দি নেনামিয়া উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষক ,একজন শিক্ষিকা সাসপেন্ড হয়েছেন।