অনলাইন ডেস্ক : পরীক্ষায় জালিয়াতি তথা নকল করলে তিন বছরের জেল ও ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা হবে। সোমবার অসম বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনের প্রথমদিন পেশ হয়েছে ‘আসাম পাবলিক এগজামিন্যাশন (মেজার্স ফর প্রিভেনশন অব আনফেয়ার মিন্স ইন রিক্রুটমেন্ট) বিল, ২০২৪।
বিলের বিষয়বস্তু অনুসারে, পরীক্ষার সময় জালিয়াতি করলে তিন বছরের জেল এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের শাস্তি হিসেবে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা এবং ১০ বছরের জেল হবে। জরিমানা অনাদায়ে আরও নয় বছরের কারাবাসের বিধি রয়েছে বিলে। অসাধু উপায়ে পরীক্ষা দেওয়া, পরীক্ষায় জালিয়াতি তথা নকল ঠেকাতে এই নতুন বিল আনা হয়েছে। এর বলে পরীক্ষায় প্রতারণা এবং প্রশ্নপত্র ফাঁসের মতো অপরাধে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। এছাড়াও বিলের ধারা ১-এর সেকশন ২ অনুযায়ী জরিমানার পরিমাণ ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত এবং শাস্তির মেয়াদ আরও ২ বছর বাড়তে পারে।
সরকার প্রশ্নপত্রের অননুমোদিত বিতরণের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে। গত শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক পরীক্ষায় (হাইস্কুল লিভিং সর্টিফিকেট) অবতীর্ণ শিক্ষার্থীদের এ ধরনের কর্মকাণ্ডে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করেছিল। আজ পেশকৃত বিলে বলা হয়েছে, প্রার্থীদের অনুমতি ছাড়া প্রশ্নপত্র রাখার অনুমতি দেওয়া হবে না। এছাড়া পরীক্ষার সময় প্রশ্নপত্র ফাঁস তথা বিক্রি এবং প্রার্থীদের সহায়তা করার মতো অন্যান্য অসদাচরণগুলিও শাস্তিযোগ্য হবে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, পরীক্ষার জন্য প্রশ্নপত্র ছাপানোর কাজ এখন কেবলমাত্র সরকারি অনুমোদিত প্রেসেই করা যাবে। এই বিলটি আসাম পাবলিক সার্ভিস কমিশন (এপিএসসি), গৌহাটি হাইকোর্ট, স্টেট লেভেল রিক্রুটমেন্ট কমিশন (এসএলআরসি) গ্রেড-থ্রি এবং গ্রেড-ফোর পরীক্ষাগুলির জন্য সরাসরি নিয়োগ সহ অন্যান্য সমস্ত সরকারি পরীক্ষার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। এছাড়া এই নিয়ম মাধ্যমিক, অসম উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা পরিষদ (এএইচএসইসি), শিক্ষক যোগ্যতা পরীক্ষা (টেট) এবং আরও অনেক কিছুতেও প্রসারিত হবে। নতুন এই বিলের মাধ্যমে অসম সরকার শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যাপক সংস্কার আনার চেষ্টা করছে। বিলের উদ্দেশ্য, পরীক্ষার মাধ্যমে মেধাবী শিক্ষার্থীদের উচ্চ পদ দেওয়া। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার পরিবৰ্তে এই বিল এদিন রাজ্যের সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী পীযূষ হাজরিকা সদনে পেশ করেছেন।