অনলাইন ডেস্ক : সাসপেনশন প্রত্যাহার হলো বাশকান্দি নেনামিয়া হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের শিক্ষক আনোয়ারুল হক বড় ভূঁইয়ার। সোমবার তিনি যোগ দিয়েছেন কাজে। তবে একই ঘটনার সূত্র ধরে সাসপেন্ড হওয়া স্কুলের অন্য শিক্ষক বিকাশ পুরকায়স্থের সাসপেনশন এখনও প্রত্যাহার হয়নি।
গত মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী ছিল আনোয়ারুল হকের মেয়ে। মেয়ে পরীক্ষা দিচ্ছিল নেনামিয়া হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল কেন্দ্রে। অসুস্থ থাকায় তার পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছিল “সিক রুম”-এ। পরীক্ষা চলাকালীন স্কুলের শিক্ষক আনোয়ারুল হক অনৈতিকভাবে মেয়েকে উত্তর লিখতে সাহায্য করছিলেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনার এক ভিডিও ভাইরাল হয়। এরপর সাসপেন্ড করা হয় আনোয়ারুল হককে। সঙ্গে সাসপেন্ড করা হয় স্কুলের অন্য শিক্ষক বিকাশ পুরকায়স্থকেও। অভিযোগ বিকাশবাবুই পরীক্ষা চলাকালীন আনোয়ারুল হক ও তার মেয়ের ভিডিও রেকর্ডিং করেছিলেন। তিনি ছিলেন “সিক রুম”-এ “ইনভিজিলেটর”-এর দায়িত্বে। নিয়ম ভেঙ্গে পরীক্ষা চলাকালীন সঙ্গে মোবাইল নিয়ে যাওয়ার দরুন সাসপেন্ড করা হয় তাকে।
এদিকে একজনের সাসপেনশন প্রত্যাহার এবং অন্যজনের বহাল থাকা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে অসম উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক ও কর্মচারী সংস্থা। সংস্থার রাজ্য সভাপতি কৃষ্ণেন্দু রায় এক বিবৃতিতে বলেন যা হয়েছে তা চরম দুর্ভাগ্যজনক, এর পেছনে অবশ্যই রয়েছে বিরাট রহস্য। যথাযথ তদন্ত হলে বেরিয়ে আসবে সবকিছু। তার কথায়, ভাইরাল ভিডিও থেকেই পরিষ্কার আনোয়ারুল তার মেয়েকে উত্তর বলে দিচ্ছিলেন। এমন চূড়ান্ত অনৈতিক কাজের পরও আনোয়ারুলের সাসপেনশন প্রত্যাহার করা হলো। আর যিনি ব্যাপারটা ধরিয়ে দিলেন তিনি রয়ে গেলেন সাসপেন্ড হয়ে। কৃষেন্দুবাবু বলেন, বিকাশ পুরকায়স্থ হয়তো নিয়ম ভেঙ্গে পরীক্ষার হলে মোবাইল নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু একটা বড় অনিয়ম ধরিয়ে দিতেই এই কাজ করেছিলেন তিনি। এরপরও যেভাবে তার সাসপেনশন বহাল রাখা হয়েছে, এ থেকেই তো স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে সবকিছু।