অনলাইন ডেস্ক : বিয়ের স্বপ্ন দেখিয়ে নাবালিকার সঙ্গে যৌনসম্পর্ক করেছিল যুবক। ধলাই থানা এলাকার গুরুদয়ালপুরের বাসিন্দা সুজিত কৈরি (২৫) নামে এই যুবককে ১০ বছর কারাবাসের সাজা শুনালো কাছাড়ের স্পেশাল
জজ তাসফিয়া হোসেনের আদালত।
সুজিতের লালসার শিকার হওয়া ওই নাবালিকা গুরুদয়ালপুরেরই বাসিন্দা। ২০১৭ সালের ৯ জুলাই নাবালিকার মা সুজিতকে অভিযুক্ত করে থানায় দায়ের করেন এজাহার। এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, সুজিত তার মেয়ের সঙ্গে প্রেম ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল। এরপর বিয়ের স্বপ্ন দেখিয়ে তার সঙ্গে যৌন সম্পর্কে মিলিত হয়। যার দরুন মেয়ে
অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
নাবালিকার মা এজাহারে আরও উল্লেখ করেন, প্রথমত তিনি কিছুই জানতে পারেননি। পরে মেয়ের শারীরিক অবস্থা দেখে সন্দেহ হওয়ায় তাকে জিজ্ঞেস করে সবকিছু জানতে পারেন।
এভাবে নাবালিকার মা এজাহার দায়ের করার পর পুলিশ মামলা নথিভুক্ত করে তদন্ত চালায়। পুলিশি তদন্ত প্রক্রিয়ার পর মামলা গড়ায় আদালতে।
এরপর বিচার প্রক্রিয়া শেষে শুক্রবার আদালত রায় ঘোষণা করে। এতে সুজিতকে দোষী স্বাব্যস্ত করে সাজা শোনানো হয়। আদালতের রায়ে সুজিতকে দোষী সাব্যস্ত করতে গিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, যেহেতু ঘটনার সময় নির্যাতিতা নাবালিকা ছিলেন তাই তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক গড়ে তোলায় পক্সো আইনের ৬ নম্বর ধারায় তার সাজা হওয়া প্রযোজ্য। তাকে ১০ বছর সশ্রম কারাবাসের সাজা শোনানোর সঙ্গে সঙ্গে জরিমানা করা হয়েছে ৩ হাজার টাকা। জরিমানা অনাদায় তাকে ভোগ করতে হবে আরও ২ মাসের কারাদণ্ড।