অনলাইন ডেস্ক : ধলাই উপনির্বাচনে টিকিট বন্টনের ক্ষেত্রে শেষমুহূর্তে চমক দিল বিজেপি। প্রতিনিয়ত সংবাদ শিরোনামে থাকার পরও গেরুয়া হাইকমান্ডের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের বেলায় ‘ ব্রাত্যই থেকে গেলেন অমিয়কান্তি দাস। নানান জল্পনা কল্পনার কেচ্ছা কাহিনী শেষে বিজেপির পদ্ম চিহ্নে আসন্ন এই উপনির্বাচনে লড়বেন আইনজীবী নীহার রঞ্জন দাস। এদিকে হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ অমিয়কান্তি দল থেকে পদত্যাগ করেছেন।
ধলাই উপনির্বাচনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হওয়ার পর থেকে বিজেপির টিকিটের দাবিদার হিসেবে বারবার অমিয়কান্তির নাম উঠে আসছিলো। এমনকি গুরুত্বপূর্ণ এক পদ থেকে পদত্যাগও করেছিলেন তিনি। কিন্তু শনিবার যখন রাজ্যের তিন সহ সারাদেশের ছয় আসনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে বিজেপি, তাতে নাম নেই অমিয়কান্তির। আর তালিকায় চূড়ান্ত হয়, ধলাই থেকে লড়বেন নীহার রঞ্জন। হাইকমান্ডের এই সিদ্ধান্ত একেবারেই হজম হয়নি অমিয়কান্তির। স্থানীয় জিগির তুলে নিহারকে ‘ বহিরাগত ‘ আখ্যা দিয়ে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ এবং অন্যান্য দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়ে সভাপতির উদ্দেশ্যে পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দেন তিনি।বিজেপি ধলাই বিধানসভা এলাকার বাইরের একজনকে টিকিট দিয়েছে, বারবার এই প্রসঙ্গ টেনে বহিরাগত ইস্যু চাগিয়ে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা চালিয়ে আমিয়বাবু আরও উল্লেখ করেছেন, বিজেপিতে বর্তমানে অনুশাসন ও আদর্শ বলে কিছুই নেই। দলে চলছে শুধু চাটুকারিতা। পরিমল শুক্লবৈদ্যের চাটুকারিতা করতে পারেননি বলেই তিনি আজ টিকিট পাননি। সঙ্গে তিনি আরও উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিক বরাক উপত্যকা সফরকালে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছিলেন, পরিমল শুক্লবৈদ্যে যার নাম প্রার্থী হিসেবে পাঠাবেন তাকেই টিকিট দেওয়া হবে। বাস্তবে হলোও তা। এ থেকেই প্রমাণিত যে দলে বর্তমানে আদর্শ বলে কিছু নেই, ব্যক্তিপূজা বা চাটুকারিতাই শেষ কথা।
এভাবে মনের ক্ষোভ উগরে দিয়ে অমিয়বাবু শেষে উল্লেখ করেন, তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের তৃতীয়বর্গের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্বয়ংসেবক। দল ছাড়লেও আমৃত্যু থাকবেন স্বয়ংসেবক হয়েই। উল্লেখ্য পেশায় আইনজীবী নীহার রঞ্জন এরআগে শিলচর লোকসভাতেও দাবিদার ছিলেন। তবে দল পরিমল শুক্লবৈদ্যকে টিকিট দেওয়ায় সেযাত্রায় ভাগ্য শিকে ছিড়েনি তাঁর।