অনলাইন ডেস্ক : শিলচর ট্রাফিক পুলিশ দুর্গাপূজা উপলক্ষে শিলচর পুরসভার অধীনস্থ সড়ক সমূহে যানবাহন চলাচলের বিধি নিষেধ জারি করেছে। এ সম্পর্কে প্রশাসনের পক্ষে জানানো হয়েছে, ২১ থেকে ২৪ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত শহরে সকল ধরনের ভারী ও মাঝারি ট্রাকের চলাচল বন্ধ থাকবে। সকাল ৯টা সব ধরনের ভারী, মধ্যম, ছোট যাত্রীবাহী বাস ও অন্যান্য হালকা বাণিজ্যিক যাত্রীবাহী গাড়ি, সেনাবাহিনী, আধাসামরিক বাহিনী, বিআরটি.এফ, সিআরপিএফের গাড়িসমূহ পুর এলাকায় চলাচল করতে পারবে না। আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, মিজোরামের রাজ্য সরকারের অধীন যাত্রীবাহী বাস এবং বেসরকারি যাত্রীবাহী সুপার বাসগুলি সকাল ৯টার পর থেকে রামনগর, নাগাটিলা, রংপুর, রায়গড় থেকে চলাচল করবে। করিমগঞ্জ, হাইলাকান্দি রুটের সব ধরনের বাণিজ্যিক যাত্রীবাহী গাড়ি রামনগর থেকে যাতায়াত করবে। একইভাবে লক্ষ্মীপুর, উধারবন্দ ও মণিপুরের সব ধরনের বাণিজ্যিক যাত্রীবাহী গাড়ি
রামকৃষ্ণ পেট্রোল পাম্প এবং সোনাই, মিজোরামের গাড়িগুলি জাঙ্গিয়ানা পয়েন্ট থেকে এবং মাছিমপুর রুটের গাড়িগুলি তারাপুর, রায়গড়, ধোয়ারবন্দ রুটের গাড়িগুলি কাঠাল পয়েন্ট থেকে যাতায়াত করতে পারবে। পুর এলাকার ভিতরে থাকা রিকশ এবং অটোর জন্য বাইরে অস্থায়ী স্ট্যান্ডে থাকবে। মালুগ্রাম বা ট্রাঙ্ক রোডের দিক থেকে আসা অন্যান্য গাড়িগুলি সদরঘাট পয়েন্ট থেকে ফরেষ্ট অফিসের সামনে দিয়ে জানিগঞ্জ, দেওয়ানজি বাজার হয়ে প্রেমতলার দিক দিয়ে রাঙ্গিরখাড়ি যেতে পারবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, রাঙ্গিরখাড়ির দিক থেকে আসা হালকা যানসমূহ প্রেমতলা, শিলংপট্টি, ডিআইজি অফিস পয়েন্ট হয়ে হোটেল বড়াইল ডিউ-এর সামনের রাস্তা দিয়ে টেনিস পয়েন্ট হয়ে পিডব্লিউডি রোড অথবা ইণ্ডিয়া ক্লাব রোড হয়ে ট্রাঙ্ক রোড দিয়ে অথবা ডিআইজি পয়েন্ট দিয়ে অন্নপূর্ণা পয়েন্ট, দেবদূত, ডাকবাংলো হয়ে মালগ্রাম এবং সদরঘাট গোলচক্কর হয়ে ফরেষ্ট অফিস গলি দিয়ে কোর্ট হয়ে জানিগঞ্জ, নাজিরপট্টি, প্রেমতলা, রাঙ্গিরখাড়ির দিকে যেতে পারবে। চামড়া গুদাম, বিলপার থেকে আসা গাড়ি কালিবাড়ি রোড হয়ে দেওয়ানজি বাজারের দিকে যেতে পারবে। পাবলিক স্কুল রোড, গোপীনাথ সিনেমা হলের (পুরাতন) সামনে সম্পূর্ণ ‘নো এন্ট্রি’ থাকবে। জানিগঞ্জ হয়ে কোনও ধরনের যানবাহন তুলাপট্টি বা উকিলপট্টির দিকে চলাচল করতে পারবে না।
হাসপাতাল রোড হয়ে কোনও ধরনের যানবাহন চেংকুড়ি রোড অভিমুখে যেতে পারবে না। পূজার প্রথম দিন দুপুর ২টা থেকে ১নং লিংক রোড পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত ‘ওয়ান ওয়ে’ হিসাবে পরিগণিত হবে। সব ধরনের যানবাহন সোনাই রোডের দিক থেকে লিংক রোড ঢুকতে পারবে এবং হাইলাকান্দি রোড হয়ে বের হবে। লোচন বৈরাগী রোড দুপুর দুটা থেকে ‘নো এন্ট্রি জোন’ হিসাবে থাকবে। করিমগঞ্জ এবং হাইলাকান্দির দিক থেকে আসা অন্যান্য হালকা যানবাহন ন্যাশনাল হাইওয়ে পয়েন্ট থেকে রাঙ্গিরখারি পয়েন্ট দিয়ে শহরে প্রবেশ করতে পারবে। ইন্ডিয়া ক্লাব পয়েন্ট থেকে হতে তারাপুর ইঅ্যান্ডডি কলোনী পয়েন্ট পর্যন্ত ২১ থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত দুপুর ২টা থেকে কোনও ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারবে না।
শিলচর থেকে উধারবন্দ ও বড়খলা যাওয়া গাড়ি অন্নপূর্ণা সেতু (ইটখলা) হয়ে ছোট দুধপাতিল ময়নারবন্দ হাইওয়ে হয়ে উধারবন্দ যেতে পারবে। উধারবন্দ, বড়খলা ও লক্ষীপুর থেকে থেকে আসা হাল্কা যান-বাহন রংপুর সদরঘাট হয়ে ক্যাপিটাল পয়েন্ট, ট্রাঙ্ক রোড, ইণ্ডিয়া ক্লাব, জেল রোড, বিবেকানন্দ রোড হয়ে আশ্রম রোডের দিকে যেতে পারবে, অথবা সদরঘাট ফরেষ্ট অফিস গলি দিয়ে কোর্ট হয়ে জানিগঞ্জ, নাজিরপট্টি, প্রেমতলা, রাঙ্গিরখাড়ির দিকে যেতে পারবে। যে কোন ধরনের যান-বাহনে কালো গ্লাস ব্যবহার নিষিদ্ধ।
বিসর্জনের দিন অর্থাৎ ২৮ অক্টোবর দুপুর ১২টা থেকে কোনও ধরনের যানবাহন পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত পুর এলাকার ভিতরে চলাচল করতে পারবে না। বিসর্জনের দিন রাঙ্গিরখাড়ির দিক থেকে প্রতিমাবাহী যান সমূহ প্রেমতলা, নাজিরপট্টি, সেন্ট্রাল রোড, ডাকবাংলা পয়েন্ট হয়ে বিসর্জন ঘাটের দিকে যাবে। বিসর্জনের পর পুরসভা সফতরের সামনে দিয়ে প্রতিমাবাহী যানসমূহ বের হতে পারবে। অনুরূপভাবে তারাপুরের দিক থেকে আসা প্রতিমাবাহী গাড়ীগুলি ডিআইজি বাংলো পয়েন্ট হয়ে অন্নপূর্ণা পয়েন্ট অথবা শিলংপট্টি, প্রেমতলা আসার উপরোক্ত পথ ধরে বিসর্জনঘাটের দিকে যেতে পারবে। রংপুর মালুগ্রামের দিক থেকে আসা গাড়ীসমূহ ক্যাপিটাল পয়েন্ট, ক্লাব রোড হয়ে ডাকবাংলো পয়েন্টে অন্যান্য গাড়ী সমূহের সাথে পূর্বে উল্লিখিত পথে বিসর্জন ঘাটের দিকে যাবে।