অনলাইন ডেস্ক : লক্ষীপুর থানা এলাকার দিলখুশ জিপি-র প্রাক্তন জিপি সভানেত্রীর স্বামী মহেন্দ্র দাস ওরফে ফুটুক দাসের বিরুদ্ধে দাদাগিরি ও মারপিটের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। গ্রামের অসহায় গরীব লোকদের হেনস্থা ও মারপিটের অভিযোগ উঠেছে।মারপিটের অভিযোগে লক্ষীপুর থানায় মহেন্দ্র দাস, তার ছেলে প্রকাশ দাস এবং তার সমর্থক রতন দাসের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন গুরুতর আহত রাজীব হাজামের মা উমা হাজাম।মারপিটে আহত রাজীব হাজামের পিতা বেশ কয়েকদিন ধরে অসুস্থ হয়ে বিছানায় শয্যাশায়ী। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী সদস্য হচ্ছে বছর উনিশের রাজীব হাজাম। গতকাল শুক্রবার রাত অনুমানিক দশ’টায় রাজীব হাজামকে ফোন করে ডেকে তার বাড়ীতে নিয়ে যায় রতন দাস। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ফুটুক দাহ এবং তার ছেলে প্রকাশ দাস। দায়ের করা মামলার এজাহার মতে সেখানে যাওয়ার পর নাকি রাজীবের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন উপরোক্ত অভিযুক্তরা। টাকা দিতে অস্বীকার করায় নাকি তাকে লোহার রড, লাঠি ইত্যাদি দিয়ে প্রহার করতে থাকে বিবাদীরা। মার খেয়ে হল্লা চিৎকার শুরু করলে গ্রামবাসীরা এসে তাকে উদ্ধার করে বাড়ীতে নিয়ে যাওয়া হয়। তার মাথায় মারাত্মক জখম হয়েছে। কোমর এবং বুকে-পিঠে লাঠি দিয়ে প্রহার করায় ছেলেটি দাঁড়াতে পর্য্যন্ত পারছে না বলে জানা যায়। শাসকদলের নেতা ফুটুক দাসের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস নেই স্থানীয় নীরিহ মানুষের।আহত রাজীবের মা উমা হাজাম বলেন তার ছেলেটি পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী। তাকে মারধর করে মারাত্মক ভাবে আহত করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অসুস্থ পিতার চিকিৎসা সহ পরিবার পরিচালনা করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। তিনি পুলিশ প্রশাসনের কাছে তার পুত্রকে মারধর করে যারা গুরুতর আহত করেছে, তাদের কঠোর শাস্তি প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করার আবেদন রাখেন এজাহারে। আহত যুবককে শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন।