অনলাইন ডেস্ক : বাজেট অধিবেশনের তৃতীয় দিনও উত্তাল হয়ে উঠেছিল রাজ্য বিধানসভা। লাগামহীন অশান্তি সৃষ্টি করার অপরাধে মার্শাল দিয়ে কংগ্রেসের বিধায়ক জাকির হুসেন শিকদারকে বহিষ্কার করেন অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ দৈমারি। মঙ্গলবার অসম বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনের ছিল তৃতীয় দিন। এদিনও সদন উত্তাল করেন বিরোধীরা। পঞ্চায়েত ও গ্ৰামোন্নয়ন বিভাগ সম্পর্কে শাসক দলের বিধায়ক তেরস গোয়ালা এক প্ৰশ্ন সদনে উত্থাপন করার সঙ্গে সঙ্গে হুলস্থুল পরিবেশের সৃষ্টি করেন বিরোধী কংগ্ৰেসের বিধায়ক জাকির হুসেন শিকদার।
বিধায়ক জাকির হুসেনকে পরিবেশ উত্তপ্ত না করতে বার বার অনুনয় করতে থাকেন অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ দৈমারি। বিধানসভার নিয়ম ভঙ্গ না করতেও তাঁকে অনুরোধ জানান অধ্যক্ষ। কিন্তু অধ্যক্ষের কোনও কথায় কান না দিয়ে তিনি পরিবেশ অশান্ত করে তুলেন। এর পর মার্শাল দিয়ে তাঁকে সদন থেকে বের করে দেন অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ দৈমারি।
অধ্যক্ষের এই পদক্ষেপের তীব্ৰ বিরোধিতা করে কংগ্ৰেসের অন্য বিধায়করা প্রশ্নোত্তর পর্ব বৰ্জন করেন। কংগ্ৰেসের বিধায়ক তথা উপ-দলনেতা রকিবুল হুসেনের অভিযোগ, এমজিএনরেগা সম্পর্কে সরকার দায়মুক্ত হতে চাইছে। অসমে মোট সক্ৰিয় জবকাৰ্ড আছে ৪১ লক্ষ ৩৬ হাজার৷ এর মধ্যে মাত্ৰ ৭০ হাজার মানুষের জন্য ইস্যু করা হয়েছে জবকাৰ্ড৷ সরকারের মতে, অসমে ৭ কোটি কৰ্মদিনের সূচনা করা হয়েছে৷ অথচ কৰ্মদিন সূচনা করার কথা ৪০ কোটি৷ কেননা অসমে অ্যাক্টিভ জবকাৰ্ডের সংখ্যা ৪০ হাজার। এই ৪০ হাজার জবকাৰ্ডকে ১০০ দিন কাজ দিলে হবে ৪০ কোটি।
রকিবুল হুসেনে আরও বলেন, সরকার পুঁজির অভাবে তা করতে পারেনি৷ কৰ্মদিনের সূচনা করতে ব্যৰ্থ সরকার৷ কেবল প্ৰধানমন্ত্ৰী আবাস যোজনার কাজই কিছু সম্পন্ন হয়েছে৷ তাই এই প্ৰশ্নের উত্তর দিতে না পেরে জাকির হুসেন শিকদারকে সদন থেকে বহিষ্কার করেছেন অধ্যক্ষ, অভিযোগ তুলেছেন রকিবুল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে উপ-দলপতি রকিবুল হুসেন জাকির হুসেন শিকদারের বহিষ্কার প্রত্যাহার করতে অনুরোধ জানান। এর পর ডেপুটি লিডারের অনুরেধে বহিষ্কারের নির্দেশ প্রত্যাহার করে জাকির হুসেন শিকদার সদনে উপস্থিত থাকতে পারবেন বলে পুনরাদেশ দেন অধ্যক্ষ। পরে অবশ্য সদনে আসেন বিধায়ক জাকির হুছেইন।